ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বীরগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষার চাষ

বীরগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষার চাষ

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষার চাষ ভালো ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪ হাজার ৪৬০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সরিষা ফসল লাভজনক হওয়ার কারণে ৮০৭ হেক্টর জমিতে আবাদ বেশি হয়েছে। চলতি বছর সরিষার আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে। গত বছরের চেয়ে এবছর বেড়েছে ৮০৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ। কৃষকের মাঠে আগাম জাতের বারি সরিষা চাষে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বীরগঞ্জে কৃষকরা বোরো আবাদের আগে একই জমিতে আগাম বারি-১৪, বারি-৯, বারি বীনা-৯, বারি-১৮, বারি-১৭ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আর সরিষার বাম্পার ফলন ঘরে তোলার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি অধিক ফলনশীল বারি-১৪ ও বারি-৯ জাতের এই সরিষা চাষ করে কৃষকরা বোরো আবাদের খরচ উঠিয়ে নেয়। এ বছর নতুন করে টরি-৭, বারি-৯, বারি বীনা-৯, বারি-১৭ ও বারি- ১৮ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ শুরু করেছে। এসব জাতের সরিষা ৭০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারে। যার ফলে কৃষকরা সরিষা চাষের পরে খুব সহজে বোরো আবাদ করতে পারেন। যে কারণে উপজেলাব্যাপী কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন বেশি। উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের ভোগনগর গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার, আবু তাহের, একই ইউনিয়নের ভাবকি গ্রামের শাহনাজ বেগম, সাইদুল ইসলাম, ও ফযজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর সরিষার চাষ করা হয়। সরিষা চাষে অনেক লাভবান হন তারা। ইরি বোরো মৌসুমের আগেই সরিষা তুলে সেই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করে থাকেন কৃষকরা। তবে চলতি বছরে সরিষা চাষে বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। গত বছরের তুলনায় এবছরে বৃষ্টির পানি কম থাকলেও সরিষা ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিঘাপ্রতি জমিতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা পাবে বলে তারা ধারণা করেছেন। বাজারে সরিষার দামও ভালো পাওয়া যাবে। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, অধিক দাম ও বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা সরিষার আবাদে ঝুঁকেছেন। এ বছর ৫ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। সরকারিভাবে ৫ হাজার ২ শত বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৭০০ জন কৃষককে সরিষা চাষের জন্য বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত