বিষাক্ত ড্রাগন ফলে সয়লাব কেশবপুরের বাজার

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে ক্ষতিকর হরমনযুক্ত বিষাক্ত ড্রাগন ফল বাজার সয়লাভ হয়ে গেছে। বাজারে অবাদে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত ড্রাগন ফল। প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল। জানা গেছে, কেশবপুরে অবাদে বিক্রি করা হচ্ছে মানবদেহের জন্য অত্যধিক পরিমাণে ক্ষতিকর হরমনযুক্ত বিষাক্ত ড্রাগন ফল। এগুলো বিক্রি বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী সচেতন মহল। কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটেবাজারে ও পৌর শহরে অবাদে বিক্রি করা হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত হরমনযুক্ত ড্রাগন ফল। এই সমস্ত ড্রাগনফল খেয়ে উপকারের চেয়ে মানবদেহের জন্য ক্ষতি হচ্ছে অনেক বেশি। গতকাল সকালে কেশবপুর পৌর শহরের বিভিন্ন ফলভান্ডার ঘুরে দেখা গেছে যেসব ড্রাগন ফল বিক্রি করা হচ্ছে তা স্বাভাবিকের চেয়ে আকারে অনেক বড়। আর এগুলো গাছে থাকা অবস্থায় ড্রাগনের পিছনের অংশের ফুল তুলে আকারে অনেক বড় করে তৈরি করার জন্য তিন দফা বিষক্রিয়া হরমন স্প্রে করে থাকে। কেশবপুর পৌর শহরের পাঁজিয়া সড়কের ফল বিক্রেতা অসিত কুমার জানান, আগে প্রকৃত ড্রাগনফল পাওয়া যেত। এখন সেগুলো আর বাজারে পাওয়া যায় না। এখন যা বিক্রি করা হচ্ছে এগুলো গাছে থাকা অবস্থায় এক ধরনের মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হরমন স্প্রে করে আকারে অনেক বড় তৈরী করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। বিষ মুক্ত একটি ড্রাগনের ওজন হয়ে থাকে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম। আর হরমোন স্প্রে করা একটি ড্রাগনের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজির বেশি হয়ে থাকে। আগে একটি ড্রাগন ফল বিক্রি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর এখন ক্ষতিকর হরমোন স্প্রে করা একটি ড্রাগন ফল বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। তারা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। কেশবপুরে অসাধু ড্রাগন ফল চাষি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় মানবদেহের জন্য অধিক পরিমাণে ক্ষতিকর হরমোন স্প্রে করে আকারে অনেক বড় করে তা বিক্রি করছে। অধিকাংশ ফল ব্যবসায়ীরা বলেন, তারা জানে না ড্রাগন ফল আগের চেয়ে আকারে এতো বড় করা হয়েছে কীভাবে। আর এর কি কি ক্ষতি হয়ে হয়ে থাকে। কেশবপুর পৌর শহরের রায় জুয়েলার্সের মালিক কার্তিক চন্দ্র রায়, গৌরিঘোনা গ্রামের মজিবার রহমান, মোটরসাইকেল চালক বুকুল হোসেন, ব্রহ্মকাটি গ্রামের শওকত আলী, সাতবাড়িয়া গ্রামের রাজিব চৌধুরীসহ অনেকে বলেন, ক্ষতিকর বিষযুক্ত হরমোন স্প্রে করে তৈরি করা বড় আকারে ড্রাগন ফল খাইলে মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। শহরের এএসএইচকে সাদেক সড়কের ভাই ভাই তাজা ফল ভান্ডারের মালিক আবুল হোসেন, ফল বিক্রেতা ফারুক হাসান, ত্রিমোহীনি মোড়ের নিরঞ্জন ফল ভাণ্ডারের নিরঞ্জন কুমার দাস তারা জেনে বুঝে অধিক লাভের আশায় দীর্ঘদিন ক্ষতিকর ড্রাগন ফল বিক্রি করে চলেছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তানভির হোসেন বলেন, কৃত্রিম উপায় তৈরি করা ড্রাগন ফল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে শুনেছি। কিন্তু ভোক্তা অধিদপ্তরের কোনো নির্দেশনা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তবে এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের কতৃপক্ষকে আগে এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।