ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাঁশখালীর উপকূলে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত চাষিরা

বাঁশখালীর উপকূলে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত চাষিরা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলজুড়ে চলছে লবণ উৎপাদনের ধুম। এখানকার লবণ চাষিরা দিনের পুরোটা সময় ব্যয় করছেন লবণ উৎপাদনে। অনেকে জমি মালিকের সঙ্গে চুক্তিতে চাষ করেন। উপজেলার ছনুয়া, পুঁইছুড়ি কাথরিয়া, বাহারছড়া, গন্ডামারা, সরল শেখেরখীল ও খানখানাবাদ উপকূলীয় এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এসব এলাকায় বিপুল পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও এখানকার প্রায় কয়েক হাজার লবণ চাষি লবণ উৎপাদনের কাজে নেমেছেন।

এছাড়া বর্তমান বাজারে লবণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হওয়ায় এখানকার চাষিদের লবণ উৎপাদনে আরো আগ্রহ বেড়ে যায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লবণ মাঠ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বিগত দিনে উপকূলের অনেক জমি অনাবাদী হয়ে পড়া থাকলেও বর্তমানে লবণ চাষিরা লবণ উৎপাদনে প্রায় জমি চাষ করছে। লবণের দাম বেশি হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসির ঝলকও দেখা দিচ্ছে। যদি শেষ পর্যন্ত এই দাম অব্যাহত থাকে তাহলে বাঁশখালীর উপকূলীয় কয়েক সহস্রাধিক লবণ চাষি তাদের পরিশ্রমের সুফল পাবেন- এই আশা রাখছেন। বর্তমানে সরকার লবণ চাষিদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে লবণ আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় চাষিরা তাদের পূর্ণ শ্রম এখন লবণের মাঠে দিয়ে যাচ্ছেন। বাঁশখালীতে উৎপাদিত লবণগুলো বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারা দেশে রপ্তানি করে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বাঁশখালীর উপকূলীয় সরল এলাকায় তাদের নিজস্ব তদারকির মাধ্যমে লবণ উৎপাদন ও রপ্তানি করে থাকে। এ ব্যাপারে বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকার লবণ ব্যবসায়ী আবু শামা মো. ইউছুফ বলেন, বাঁশখালীতে যে লবণ উৎপাদন হয়, তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বাহিরেও রপ্তানি করতে পারবে। কিন্তু কতিপয় ব্যবসায়ী ব্যক্তিস্বার্থ সিদ্ধির জন্য বাহির থেকে লবণ আমদানি করে দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। বর্তমান সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করায় বাঁশখালীর বর্তমানে অর্ধ লক্ষাধিক লবণ চাষি ন্যায্য মূল্য ও পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য পাবেন- এই আশায় লবণ মাঠে রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

এছাড়া সরকার যদি বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত এসব লবণ দেশের সর্বত্র রপ্তানিতে সহযোগিতা করেন তাহলে এখানকার লবণ চাষিরা আরো বেশি উপকৃত হবে এবং মানসম্মত লবণ উৎপাদনে আরো বেশি মনযোগী হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন উপকূলীয় লবণ চাষিরা। লবণ চাষের আয়ে চলে অনেকের সারা বছরের খরচ। চাষিরা নিজেদের জমি বা লিজ নিয়ে লবণ চাষ করেন। সরেজমিন গত বুধবার বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা ঘুরে লবণ চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাঠের রোলার দিয়ে মাঠ সমতল করার পর চারপাশে মাটির আইল দিয়ে ছোট ছোট প্লট তৈরি করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত