ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভূরুঙ্গামারীতে বিএস কোয়ার্টারের বেহাল দশা

ভূরুঙ্গামারীতে বিএস কোয়ার্টারের বেহাল দশা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কৃষি খাতে উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও তাদের আবাসনের জন্য নির্মিত (তৎকালীন বিএস কোয়ার্টার) কোয়ার্টারগুলো সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এমনকি কোয়ার্টারগুলোর খালি জায়গায় স্থানীয় লোকজন দখল করার খবরও পাওয়া গেছে। কোয়ার্টারগুলোতে থাকার অনুপযোগী হওয়ায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাদের নিজ কর্মস্থলে থাকতে পারছেন না।

ফলে কৃষকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সালের দিকে তৎকালিন সরকার এই ভবনগুলো প্রথমে সিড গোডাউন (বীজাগার) হিসেবে নির্মাণ করে। পরবর্তীতে এ কর্মসূচি বাতিল করা হলে সরকার সিড গোডাউনগুলো ১৯৮০ সালের দিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মী-বব্ল সুপার ভাইজারদের (বর্তমানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা) বসবাসের জন্য উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১৩টি কোয়ার্টার নির্মাণ করা হয়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এসব কোয়ার্টারে থাকতেন। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত তৎকালীন কৃষি বিভাগের বব্ল সুপার ভাইজারদের (বিএস) আবাসিক এবং অফিস হিসেবে ব্যবহারের কথা থাকলেও বর্তমানে বেশির ভাগ কোয়ার্টারই থাকার অনুপযোগী হওয়ায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সেখানে বসবাস করছেন না। কোয়ার্টারগুলোতে বসবাস না করা, সংরক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে এগুলো এখন অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে তাদের কাছে থেকে দ্রুত কৃষি বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা। বর্তমানে ভবনগুলো অনেকটাই ফাঁকা ও নির্জন হওয়ায় সেখানে বিভিন্ন জীবজন্তুর আশ্রয়স্থল, মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওইসব কোয়ার্টারগুলোতে তদারকি না থাকায় চুরি হয়ে গেছে এগুলোর দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। কিছু ভবন হেলে ভেঙে পড়েছে। তাই এসব ভবন থেকে ইট খুলে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বিএস কোয়ার্টারটি ভেঙে হেলে পড়েছে এবং পরিত্যক্ত ঘরে খড়ি রেখে ব্যবসা করছে স্থানীয় লোকজন। চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বিএস কোয়ার্টারের পরিত্যাক্ত খালি জায়গায় ঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছেন আবুল হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি বলেন, জায়গা ফাঁকা আছে তাই ঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছি। সরকারের যখন প্রয়োজন হবে তখন জায়গা ফাকা করে দিব।

এ ব্যাপারে চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল আকন্দ ও আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে কোয়ার্টারগুলোতে বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, এসব ভবন সংস্কার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত