ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেড়েছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা

বেড়েছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা

টানা সাত দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর বেড়েছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা। গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে করে শৈত্যপ্রবাহ কেটে বেড়েছে এ জেলার তাপমাত্রা। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, টানা সাতদিন পর তাপমাত্রা বেড়ে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ৮ম দিনের মতো এটিও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সামনে তাপমাত্রা কমতে পারে বলে তিনি জানান। আবহাওয়ার তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা শুক্রবার ৯.৬ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার ৯.৬, বুধবার ১০.১, মঙ্গলবার ৯.৫, সোমবার ৯.৭, রোববার ১০ এবং শনিবার ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, যা ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

শনিবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তাপমাত্রা বাড়ায় ঠান্ডা অনেকটেই কমেছে। সকালে কিছু মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার পর সূর্যের মুখ দেখা দেয়ায় লোকজন কিছুটা স্বস্তিতে চলাফেরা করছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টা থেকে তাপমাত্রা বেড়ে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও আবার বিকেল থেকেই হিমেল বাতাস বইতে থাকে। আর সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রা বাড়ে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়ে সমানতালে। তেঁতুলিয়া উপজেলার শারিয়ালজোত গ্রামের ভ্যান চালক দেলোয়ার হোসেন জানায়, আগের থেকে ঠান্ডা কমেছে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে সকালেই ভ্যান নিয়ে বের হয়ে ভাড়া মারতে পারছি। লোকজনও ভ্যানে উঠছে। স্বস্তিতে ফিরেছি। এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা। জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরো শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত