মাদারীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মাদারীপুর প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা: তাহমিনা সিদ্দিকীর (ঈগল মার্কা) সমর্থক এসকেন্দার খানকে নৌকা মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা হাতুড়ি পেটা ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকাল ভোরে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রায়পুর ভাটবালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কার মিছিলে নৌকা মার্কার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থকরা বোমা হামলার ঘটনায় ঈগলের সমর্থক ও পথচারীসহ ১০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেই হামলার ঘটনার জের কাটতে না কাটতে গতকাল ভোরে ঈগল মার্কার সমর্থক লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত আলী খান ছেলে মো: এসকেন্দার আলী খানকে ফজর নামাজ পড়ে সূর্যমনি বাজারে যাওয়ার পথে নৌকা মার্কার সমর্থকরা হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে দুই পায়ের রগ কর্তন করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল পৌনে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবরে মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এসকেন্দার আলী খানের ছেলে মিলন খান বলেন, আমি এ হত্যার বিচার চাই। আমার বাবা তাহমিনা সিদ্দিকীর ঈগল মার্কার সমর্থক ছিল।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর তাহমিনা সিদ্দিকীর নির্বাচনি পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঈগল মার্কার শান্তিপূর্ণ মিছিলে বোমা হামলা করে ১০ জনকে আহত করে নৌকার সমর্থকরা। ওই ঘটনায় প্রশাসন কঠিন ব্যবস্থা নিলে আজ পুনরায় ঈগলের সমর্থক এসকেন্দার খানকে এভাবে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটত না। এ বিষয়ে জানতে নৌকা প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের মুঠোফোনে ফোন দিলে রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাজমুল হাসান বলেন, বরিশাল হাসপাতালে তিনি মারা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।