উত্তরবঙ্গ বৈষম্য ও বঞ্ছনার শিকার : জিএম কাদের

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রাজনীতিতে এবং উন্নয়ন বরাদ্দে রংপুর অঞ্চল বিভিন্নভাবে বৈষম্য ও বঞ্ছনার শিকার হয়েছে দাবি করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘উত্তরবঙ্গ বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। জাতীয় পার্টি মোটামুটি একটা উত্তরবঙ্গের দল। হয়তো সে কারণেও বিভিন্নভাবে বঞ্ছনার শিকার। রংপুর সিটি কর্পোরেশন আয়তনের দিক থেকে বিশাল। কিন্তু এখানে বরাদ্দ খুব সামান্যতম দেয়া হয়। এটাও উত্তরবঙ্গের প্রতি একটা বৈষম্য, বিশেষ করে রংপুর বিভাগের প্রতি। আরেকটা বৈষম্য জাতীয় পার্টির প্রতি। সিটি মেয়র মোস্তফা পর পর দুইবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেও তাকে সাধারণভাবে কোনো পদমর্যাদা দেয়া হয়নি। এটাও এক ধরনের বঞ্ছনা-বৈষম্য। এটার ব্যাপারে আমরা সংসদে কথাও বলেছি, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।’ গতকাল রোববার দুপুরে রংপুর চেম্বার ভবনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে নির্বাচনি মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথ উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা হয়তো অনেকসময় সফল হতে পারছি না। তার জন্য আমরা নিরাশ নই। সামনের দিকে আল্লাহর রহমতে আমরা যদি সংসদে যাই, তখন আমরা জোরালো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব। এবং আপনাদের সাথে নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে হলেও রংপুরের জন্য আমাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায় করব। আমার কাছে মনে হয় রংপুর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন এখন বড় সমস্যা। অল্প বৃষ্টি হলেই শহরে পানি জমে যায়। এটা শুধু রংপুরে নয়, বাংলাদেশের প্রায় বড় বড় শহরগুলোও এমন সমস্যা রয়েছে। পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য শ্যামাসুন্দরী খালকে যেমন খনন করা দরকার, তেমনি আরও কিছু খালের ব্যবস্থা করা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে শহরের পাড়ামহল্লায় ছোটবড় একটা করে পুকুর বা কুয়া থাকত। খেলার মাঠ থাকত, আর একটা করে প্রাইমারি স্কুল থাকত। এসব সরকারি তরফ থেকে বা স্বায়ত্তশাসিত ভাবে দেয়া হতো। এখন শহর সম্প্রসারিত হওয়ার কারণে আমাদের বেসিক নীডসগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আগুন লাগলে পানি দেয়ার মতো কোনো পুকুর-খালবিল কিছু নেই সব ভরাট হয়ে গেছে। রংপুর শহরের জন্য একটা মাস্টার প্ল্যান দরকার। ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য এটা জরুরি।’ সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘রংপুরে শিল্পায়ন দরকার।