মানিকগঞ্জে অনুমোদন ছাড়াই চলছে অবৈধ ইটভাটা

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে আবাদি জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ছাড়াই মহাসমারোহে চলছে ইট তৈরির কার্যক্রম। সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে একদিকে আবাদি জমি, বিদ্যালয় এবং অপর দিকে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা। সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকি না থাকায় হুমকিতে পড়েছে ফসলিজমি, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশন- এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এসব ইটভাটার অনেকেরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ইটভাটা মালিকরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এই অবৈধ ভাটাগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ইট তৈরির মূল উপকরণ মাটি সংগ্রহে আবাদি জমির টপ সয়েল কাটার মহা-উৎসব শুরু করেছে। ভাটার পাশেই আবাদি জমির টপ সয়েল কেটে যেন পাহাড় গড়ে তুলেছে ভাটা ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ইটভাটায় মাটি বহনকারী অতি ভারী ট্রাক ব্যবহার করায় গ্রামীণ রাস্তাগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সরেজমিন দেখা যায়, হরিরামপুর উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের সততা, স্বাধীন ও আমিন ব্রিকসে উৎসবমুখর পরিবেশে ইট তৈরি ও পোড়ানো হচ্ছে। কথা হয় সততা ব্রিকসের মালিক কুন্নু চেয়ারম্যানের সাথে। তিনি বলেন গত বছর কাগজপত্র পেতে হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। পরিবেশের কাগজ আছে কিন্তু নবায়ন

করা হয়নি। জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নেই। স্বাধীন ব্রিকসের মালিক শীতল চৌধুরী বলেন, আমরা ভ্যাট ট্যাক্স ঠিকই দিই কিন্তু তারপরও কাগজপত্র কেন পাই না, সেটা বলতে পারব না। আমিন ব্রিকসের মালিক আল আমিন বলেন, আমরা এই ভাটা ভাড়ায় নেওয়ার পর জানতে পারি এ ভাটার কাগজপত্র নেই।

সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের লেমুবাড়ি এলাকার এমিকা ও একতা ব্রিক এবং দিঘি ইউনিয়নের ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে, জামাল, রহমান, অসীম ও মালেকসহ ছয়টি ভাটারই কাগজপত্র নবায়ন নেই। অবৈধ তালিকায় তাদের নাম থাকলেও পুরোদমে ইট প্রস্তুত করছে তারা। রহমান ব্রিকসের মালিক রহমান জানান, কাগজপত্র বিষয়ে যা বলার পরিবেশ ও ডিসি অফিসে বলব।