ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুয়াশাচ্ছন্ন হাতিয়ায় সহনীয় তাপমাত্রা

কুয়াশাচ্ছন্ন হাতিয়ায় সহনীয় তাপমাত্রা

টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া কুয়াশার চাদরে আবৃত ছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সূর্যের কিছুটা দেখা মিললেও বিকাল থেকে পুনরায় কুয়াশাবৃত হতে থাকে উপকূলীয় এ অঞ্চলটি। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে, হাতিয়ার আকাশে সূর্যের কিছুটা দেখা মিললেও কুয়াশার কারণে তা স্পষ্ট ছিল না। সামান্যতম দূরত্বের কোনো বস্তুই দেখা যাচ্ছিল না। গাছের পাতা ও টিনের চাল থেকে বৃষ্টির ন্যায় ফোঁটা ফোঁটা কুয়াশা পড়ছিল। তবে শীতের তাপমাত্রা ছিল সহনীয় পর্যায়ে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকার ফলে এবং বাতাস না থাকায় প্রায় অন্ধকার অবস্থায়ও জীবিকার তাগিদে কর্মব্যস্ত মানুষগুলো কাজে যোগ দিতে তেমন অসুবিধা হয়নি। যেমনটি জানিয়েছেন আলাউদ্দিন নামের এক মাটিকাটা শ্রমিক।

তিনি জানান, আশপাশের কাউকে দেখা যায় না, তবে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে না। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে হাতিয়ার প্রকৃতি। সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে দেশের মূল-ভূখণ্ডের সাথে দ্বীপবাসীর সংযোগ মাধ্যম নৌযান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির খবরও পাওয়া গেছে। উপজেলার সাখাওয়াত হোসেন নামের এক সংবাদকর্মী জানান, গত সোমবার দিবাগত রাতে চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে কোনো এক অজানা চরে আটকা পড়ে। যেখানে তার ছেলেও ছিল। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ট্রলারটি হাতিয়ার ঘটে এসে পৌঁছে। অপরদিকে, নলচিরা নৌ-ঘাটের স্পিডবোট লাইনম্যান ফারুক জানান, এই আবহাওয়াতে সমস্যা হচ্ছে না, সকাল ৭টার পর থেকে স্পিডবোটগুলো যাতায়াত শুরু করেছে। চট্টগ্রাম, পতেঙ্গা আবহাওয়া দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে- মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অঞ্চলে ঘন কুয়াশা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা ছিল। দপ্তরটির সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চল্যা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮.০ ডিগ্রি সে. এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.০ ডিগ্রি সে. উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত