কেশবপুরে ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও সবজির দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। শীতের সবজির ভরা মৌসুম এখন বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত। সে অনুযায়ী কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়লেও নতুন ও পুরানো দুটির দামই চড়া। সরবরাহ কমার অজুহাত দেখিয়ে বিক্রেতারা কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়েছে রসুনের দামও কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। তবে নতুন মুড়ি কাটা পেঁয়াজের সরবরাহে এই নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল কেশবপুর শহরের কাঁচা বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বিক্রেতেরা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজি সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় এই বিরূপ প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে মান ভেবে যে শিম ৩০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা কেজি ছিল, সেই শিম এখন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বড় গোল বেগুন ছিল ৪৫ থেকে ৬০ টাকা। এটি এখন ৭৫ টাকা। লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা ছিল। এটি এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজির করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। লাউ প্রতিটি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ১০০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ মানবেধে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ২০ টাকা বেড়ে এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ার পরও পুরাতন আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু পতি কেজি ৭৫ টাকা। দেশি রসুন প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দামও বেড়েছে। ১০ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেশবপুর কাঁচা বাজারের সবজির ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। পাইকারিতে প্রতিটি ফুলকপি কিনেছি ৪৫ টাকায়, বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। বাঁধাকপি ৩০ টাকায় কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি। প্রতিটি লম্বা লাউ ৪০ টাকায় কিনে বিক্রি করছি ৬০ টাকা। কেশবপুর বাজারে চড়া দামের কারণে সবজি না কিনে ফিরে যাচ্ছিলেন ক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, বেগুনের দাম জিজ্ঞাসা করলাম প্রতি কেজি ৭৫ টাকা চাইল। শীত মৌসুমে এত দাম থাকার কারণ কি? ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। বাজারে কোনো নজরদারি না থাকার সুযোগ নিচ্ছে এসব ব্যবসায়ীরা। তাদের কাছে ভোক্তারা এখন এক রকম জিম্মি। এখন সবজির মৌসুম চলছে বেগুনের দাম খুব বেশি হলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি হওয়ার কথা কিন্তু এখন ৭৫ টাকা কেজি। রসুনের দাম বাড়ার বিষয়ে আমদানিকারকরা ও কেশবপুর পেঁয়াজ রসুন ব্যবসায়ীরা বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে দেশি রসুন সরবরাহ খুব কম। এতে দেশি রসুনের দাম এভাবে বেড়েছে। আমদানি করা রসুনের দামও বেড়েছে। পাইকারিতে দেশি রসুন মান বেধে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা এবং আমদানি করার রসুন ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।