শেরপুরে জমজমাট পিঠা উৎসব

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শেরপুর প্রতিনিধি

ভোজন প্রিয় বাঙালির শীত মানেই পিঠা খাওয়ার মৌসুম। অগ্রহায়ণের নতুন ধানের চালের পিঠা না খেলে অসম্পূর্ণ থাকে বাঙালিয়ানা। একসময় শহর বা গ্রামের ঘরে ঘরে তৈরি হতো ভাপা, পুলি, চিতই ও তেলের পিঠাসহ বাহারি ও নানা স্বাদের পিঠা। বাড়ি বাড়ি ধূম পড়ত পিঠা খাওয়া। তবে সম্প্রতি আধুনিক ইন্টারনেটের যুগে ইউটিউব থেকে বাড়ির মা-বোনেরা নানা রেসিপি দেখে রেসিপি তৈরিতে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে দেশীয় সব পিঠা তৈরি এখন আর বাসা বাড়িতে খুব একটা তৈরি হয় না। তবে এই পিঠার মেলা বসেছে শেরপুরের শাহীন ক্যাডেট স্কুল প্রাঙ্গণে। প্রায় দেড় শতাধিক বাহারি রকমের ও স্বাদের পিঠার ৯টি স্টল বসেছিল এখানে। আয়োজকদের স্টলে মুখরিত হয়ে উঠেছিল এ পিঠা উৎসব প্রাঙ্গণ। শেরপুর জেলা শহরের সজবরখিলাস্থ শাহিন ক্যাডেট স্কুল মাঠে স্কুলের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা ওভারসিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরে জেলা পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম। স্কুলের শিক্ষকদের আয়োজনে ৯টি স্টলে দেড় শতাধিক বাহারি পিঠার প্রসরা বসে। এ সময় স্কুলের শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই পিঠা উৎসবে এসে পিঠা ক্রয় করে খান এবং অনেকেই বাড়ির জন্য নিয়ে যায়। মেলায় এসে শিক্ষার্থীরা বাড়ি পিঠার খেয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করেন। অনেক পিঠাপ্রেমীরা মেলায় এসে ঘুরে ঘুরে বাহারি সব পিঠা দেখেন এবং তাদের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন। পিঠার স্টল মালিকরাও জানান বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছে। এমন আয়োজন প্রতিবছরই করার দাবি জানাই অনেকেই। স্কুলের শিক্ষক এবং স্টল ব্যবসায়ীরা জানায়, এখানে স্কুল থেকে প্রতি বছরই পৃঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিগত বছরের চেয়ে এবার সবচেয়ে বেশি সারা মিলেছে এবং আগামী দিনেও এর ধারাবাহিকতা থাকবে বলে মনে করছেন তারা। পিঠা উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রতিটা স্টল থেকে কমপক্ষে ২০ টাকার পিঠা কিনলে একটি করে কুপন দেয়া হয়, সে গোপনে প্রথম পুরস্কার এলইডি টেলিভিশন রাখা হয়েছে। আয়োজক শাহীন ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম হিমেল বলেন, বাঙালির প্রায় হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রকারের শীতের পিঠাকে তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিচিতি করতে এবং আগামী প্রজন্ম যেন এ পিঠাকে ধরে রাখতে পারে সেজন্য এ আয়োজন।