ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যথানাশক ট্যাবলেটে ইয়াবার বিকল্প নেশা

ব্যথানাশক ট্যাবলেটে ইয়াবার বিকল্প নেশা

দামে কম ও সহজলভ্য হওয়ায় হেরোইন ও ইয়াবার বিকল্প ব্যথানাশক ট্যাবলেট মাদকসেবিদের কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে ওষুধের দোকানগুলো ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অবাধে বিক্রি করছে ব্যথানাশক ট্যাবলেট। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার পৌরশহর ও ইউনিয়নের বেশ কিছু ওষুধের দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ মাদক বিক্রেতারা এ ট্যাবলেট বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্য মাদকের চেয়ে সহজলভ্য এবং দামে কম হওয়ায় মাদকসেবিদের কাছে এই মাদকের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগে বেশি লাভের আশায় কয়েকগুণ বেশি দামে এসব ওষুধ বিক্রি করছে মাদকসেবিদের কাছে। আর মাদকসেবিরা মাদকের টাকা জোগান দিতে জড়িয়ে পড়ছে নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট মাদকসেবিদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। এই ট্যাবলেটের খুচরা মূল্য ১০-১২ টাকার মধ্যে হলেও এখন প্রতিটি ট্যাবলেট ৭০-৮০ টাকা এমনকি ১০০ থেকে দেড়শ’ টাকা দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যার তুলনায় হেরোইন ও ইয়াবার দাম অনেক গুণ বেশি। এদিকে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনেও তেমনভাবে এই জাতীয় ট্যাবলেটের নাম লেখা হয় না। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে এই ট্যাবলেট। এ কারণে বাংলাদেশ সরকার এই ট্যাবলেট নিষিদ্ধ করেছে। ফলে ভারত থেকে চোরাইপথে দেদারছে আনা হচ্ছে এই ট্যাবলেট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাদকসেবী জানায়, ইয়াবা-হেরোইনের বিকল্প হিসেবে তারা টাপেন্টাডল, লোপেন্টাডল জাতীয় ওষুধ সেবন করে। ওই মাদকসেবী আরো জানায়, এ্যান্টি হিস্টামিনিক সিরাপ ও ফেনারগ্যান জাতীয় সিরাপ এবং ভিটামিনের সঙ্গে এসব ট্যাবলেট গুড়ো করে মিশিয়ে তারা ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: তৌহিদুল আনোয়ার জানান, টাপেন্টাডল হাইড্রোক্লোরাইড মূলত ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। বেশি দিন ব্যবহার করলে এটির প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। এটি নেশা হিসেবে ব্যবহার করলে কিডনি ড্যামেজ, লিভার ড্যামেজ, ব্রেন স্ট্রোক এমনকি হার্টঅ্যাটাকে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এলাকার বেশ কিছু ওষুধের দোকানের উপর নজরদারি করা হচ্ছে। এর আগেও ওষুধের দোকানে নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রির অপরাধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ প্রায়ই ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারিদের গ্রেপ্তার করছে। পুলিশের এই অভিযান চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত