ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৪১.৯ মেট্রিক টন মহিষের চামড়া জব্দ

৪১.৯ মেট্রিক টন মহিষের চামড়া জব্দ

পশু ও পশুজাত পণ্য আমদানিতে শর্ত প্রযোজ্য থাকলে ও সে শর্ত পূরণ না করায় ভারত থেকে আমদানিকৃত ৪১.৯ মেট্রিক টন মহিষের চামড়া আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্য চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো চানপুর টেনারি লিঃ ঢাকা। সরকারি এক গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, চানপুর টেনারি লিঃ নামে এক আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান গত ১৯ ডিসেম্বর ভারত থেকে ৪১ মেট্রিক টন ৯০০ কেজি মহিষের চামড়া আমদানি করেন। যার মেনিফেস্ট নম্বর ৬০১২০২৩০০১০০৬৪৭৭৪ তারিখ ২০/১২/২০২৩। পণ্য চালানটি বেনাপোল বন্দর থেকে খালাশের জন্য সুপ্রিম অ্যাসোসিয়েটস নামে এক সিএন্ডএফ এজেন্ট কাস্টমস হাউজে বিল অবএন্টি দাখিল করেন। পণ্য চালানটি ছাড়করণের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস না থাকায় পণ্য চালানটি সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মির্জা রাফেজা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪ এর অনুচ্ছেদণ্ড২৯ অনুযায়ী’ প্রাণি ও প্রাণিজাত পণ্য, উদ্ভিদ ও উদ্ভিজ পণ্য এবং মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন শর্তাবলি প্রযোজ্য হইবে এবং উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানি রফতানিতে উদ্ভিদ সংনিরোধ আইন ২০১১ এবং প্রাণি ও প্রাণিজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সংনিরোধ আইন, ২০০৫ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মৎস্য সংনিরোধ আইন ২০১৮-এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হওয়ার বিধান রয়েছে। পণ্য চালানটি খালাশে ২০০৫ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মৎস্য সংনিরোধ আইন ২০১৮-এর বিধান (শর্ত) প্রতিপালন না হওয়ায় পণ্য চালানটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে। এই পত্রে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সংনিরোধ আইন, ২০০৫ অনুযায়ী সার্টিফিকেটের প্রয়োজন আছে কি না সে বিষয়ে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শার্শা উপজেলা প্রাণি ও প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ জানান, বাংলাদেশ প্রাণি ও প্রাণিজাত সম্পদ আইন ২০০৫ অনুযায়ী গরু বা মহিষের চামড়া কোনো দেশ থেকে আমদানি করতে হলে কোয়ারেন্টাইন বা প্রাণি বা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর হতে ব্যাংক থেকে ঋণপত্র খোলার পূর্বে অধিদপ্তরের অনুমতি সার্টিফিকেট নিতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের সার্টিফিকেট ব্যতিরেকে এ ধরনের পণ্য আমদানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তিনি আরো বলেন, এই ধরনের কাঁচা চামড়া হতে এন্ট্রাক্স রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। এজন্য এ ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি নিতে হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত