ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভরা মৌসুমেও চড়া সবজির দাম

ক্রেতাদের অস্বস্তি
ভরা মৌসুমেও চড়া সবজির দাম

এবার শীতে গত বছরের তুলনায় সবজির সরবরাহও অনেক বেশি রয়েছে বাজারে। সে হিসেবে সব ধরনের সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। গত কয়েক বছরেও শীতকালীন সময়ে এই ভরা মৌসুমে সবজির দাম এত বেশি দেখা যায়নি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে দুই তিন গুণ। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নববর্ষকে সামনে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও মাছের দাম।

গতকাল সোনাইমুড়ী, কালিকাপুর, আমিশাপাড়া, বাজারে সরেজমিন গিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় নতুন আলু ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০, শিম ৮০ থেকে ১০০, ফুলকপি ৬০ থেকে ৮০, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১০০, কাঁচা টমেটো ৬০, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০, ঢ্যাঁড়স ১০০, পটল ৮০, বরবটি ১০০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, শশা ৫০ থেকে ৬০, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০, ধনে পাতা কেজি ১৫০ থেকে ২০০, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০, জালি কুমড়া ৪০, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, নতুন আলু ১০০, নতুন ওঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া লালশাক ৩০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৫০, মূলাশাক ৩৫, পালং শাক ৪০, কলমি শাক ৩০ আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। শুধু পেঁপে আর মুলা ছাড়া ৫০ টাকার কেজির নিচে অন্য কোনো সবজি নেই। এই অবস্থায় সবজির বাজারে অস্বস্তি বিরাজ করছে ক্রেতাদের মাঝে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির কোনো সরবরাহ সংকট চোখে পড়েনি। বরং শীতকালীন সবজির ভরপুর সরবরাহ এখন। প্রতি বছর শীতকালীন এ সময়ে বাজারে সবজির সরবরাহ সবচেয়ে বেশি থাকে। সবজির পদেও থাকে নানা বৈচিত্র্য। এরপরও সবজির দাম হু হু করে প্রতিদিন বেড়েই চলছে। সবজি বিক্রেতাদের দাবি, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের কিছু এলাকায় বৃষ্টিতে উৎপাদন ক্ষমতা ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে উৎপাদন ও সরবরাহ কমেছে। তাছাড়া উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায়, বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মোকামে গুলোতে সবজির দাম বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গতকাল ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। যা গত সপ্তাহে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি ৩৩০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি, লেয়ার ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে একাধিক মুরগি ও মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস খানেক ধরে মুরগি ও মাংসের বাজার চড়া রয়েছে। প্রতিদিনই মুরগির দাম বাড়ছে। তারসঙ্গে তাল মিলিয়ে মাংসের দাম ওঠানামা করছে। হরতাল-অবরোধে ক্ষেত্রবিশেষে বেড়েছে পরিবহন খরচ তাই পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায়, খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত