ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৪১২ ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুত শেষ হওয়ায় নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে সাময়িক বন্ধ হচ্ছে কয়লা উত্তোলন। তবে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন অব্যাহত থাকবে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৪১২ নম্বর ফেজে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় সাময়িক কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর থেকে ১৪১২ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়।

ওই ফেইজ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছিল। খনি কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় ৫০ হাজার মে. টন কয়লা বেশি উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। ১২০৯ নম্বর নতুন এই ফেইজে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন শুরুর আশা করছে খনি কর্তৃপক্ষ। জ্বালানি সরবরাহের জন্য আগামী ৩ মাসের জন্য বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা ইয়াডে ১ লাখ ৬০ হাজার মে. টন কয়লা মজুত রয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আপৎকালীন কয়লা মজুত রেখে নতুন ফেইজের কাজ শুরু করতে হয়। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার মে. টন কয়লা উত্তোলনকৃত কয়লা দিয়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালিত হয়।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আগামী মধ্য মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা মজুত রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিটে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১৭০ মেগাওয়াট। কয়লা মজুত অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলছে। প্রধান প্রকৌশলী জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের মধ্যে কয়লার পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় ১টি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। আর অপর ১টি ইউনিটের ওভার হোলিংয়ের কাজ চলছে। চীনা প্রকৌশলীরা এই ইউনিটের যান্ত্রিক দিকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা সচল করার ব্যাপারে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো: সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, খনির ১৪১২ ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায় নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে কয়লা উত্তোলন করা হবে। খনির নিয়মিত একটি কাজ নতুন ফেইজ তৈরি ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা। আশা করা যাচ্ছে নতুন বছরের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত