ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বালু উত্তোলনে ভাঙছে নদী

বালু উত্তোলনে ভাঙছে নদী

ছিন্নমূল পরিবারের বৃদ্ধ দম্পতি আজাহার আলী ও রওশনারা বেগম। বসবাস করেন ঘাঘট নদীর বাঁধ ঘেঁষে। তাদের বাড়ির সামন নদীতে স্থানীয় এক অসাধু ব্যক্তি বাণিজ্যিকভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন অন্যত্র। এতে করে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। একই সঙ্গে বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি। হুমকির মুখে বাঁধসহ বেশ কিছু ঘরবাড়ি। আর এই আতঙ্কে নির্ঘুম রাতে শেষে নদীপাড়ে বসে অঝড়ে কাঁদছে ওই দম্পতি। তাদের চোখের পানি মিশে যাচ্ছে নদীর স্রোতে। সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘাঘট নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু তোলার দৃশ্য। অবাধে বালু উত্তোলন করার ফলে নদীর পেটে বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি ও ঘরবাড়ি। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে থামছে না বালুদস্যুদের দাপট। তারা নির্বিকারে বালু বাণিজ্য করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দামোদরপুর ইউনিয়নের ঘাঘট তীরের সিট জামুডঙ্গা গ্রামের আজাহার, হাফিজার, নুর আলম, দেলবর ও সেলিমের বাড়িসহ আরো একাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন। সেই সঙ্গে নদীর অব্যাহত ভাঙনে দাউদপুরের কৃষক দীলীপ, রউফ, মাহাবুব ও মিজানুরের ফসলি জমি এবং পাশের বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে সিট জামুডঙ্গা গ্রামের আজাহার আলী ও রওশনারা বেগম নামের বৃদ্ধ দম্পতি বলেন, ঘাঘট নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নদীর ভাঙনে আমাদের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া নদী চরে আমার জমি থেকে জোরপূর্বক বালু তোলার চেষ্টা করছে অসাধু ব্যক্তিরা। এর প্রতিকার চেয়ে ইউএনও-এসিল্যান্ডের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। এখন ডিসি-এসপি স্যারকে অভিযোগ করব। সাদুল্লাপুর উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি সিট জামুডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত