নেত্রকোনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মারধর

ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নেত্রকোনা প্রতিনিধি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের স্বতন্ত্র সদস্য পদপ্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগে কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছেইচাহানি গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে গতকাল ভোর ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরার কর্মী-সমর্থকরা নাজিুরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগের কাজ শেষে গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে চকপাড়াবাজার এলাকার চৌরাস্তায় পৌঁছানোর পর তারা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহীর (নৌকা) কর্মী-সমর্থক আব্দুল কুদ্দুছ বাবুলের নেতৃত্বে হামলা ও মারধরের শিকার হন। এতে আনোয়ার ভূঁইয়া, রাজু মিয়া, মামুন ভূঁইয়া, গনি ভূঁইয়া, জুলহাস মন্ডল ও কামরুজ্জামান আহত হন। হামলাকারিরা আহতদের মোটরসাইকেল কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা নিজেই বাদী হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বাবুলসহ অন্যদের আসামি করে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহী বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাম্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগে থানায় মামলা করেছে। উল্লেখ্য, জান্নাতুল ফেরদৌস আরা দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ উপলক্ষ্যে গত নভেম্বর মাসে পদত্যাগ করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত জালাল উদ্দিন তালুকদারের মেয়ে। জালাল উদ্দিন তালুকদার জাতীয় সংসদের তৎকালীন ময়মনসিংহ-১২ (বর্তমানে নেত্রকোনা- ১) আসনে ১৯৭৯, ১৯৮৬ ও সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টম্বর নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। ওসি মুহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, সকল আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।