ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পঞ্চগড়ে হিম বাতাসে কমছে তাপমাত্রা

পঞ্চগড়ে হিম বাতাসে কমছে তাপমাত্রা

ঘন কুয়াশা আর শিশিরঝরা হিম বাতাসে বাড়ল শীতের পারদ। অনুভূত হচ্ছে শীতের তীব্রতা। এতে করে শীত দূর্ভোগে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের হিমাঞ্চল জেলা পঞ্চগড়। বছরের শুরুতেই শীতের এমন ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ সীমান্তবর্তী জেলা। এতে করে শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি অবস্থানে এ জেলাটি। গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম দিনেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ জেলা। বিদায়ী বছর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৩ দিন। তার মধ্যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৬ দিন। ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ৬ দিন, ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ৬ দিন, ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে ৪ দিন, ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ২ দিনসহ তার উপরেই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার আবরনে এ জেলা। কুয়াশার সাথে ঝরছে হিম শিশির। তার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে করে কুয়াশা ঝরা ঠান্ডা বাতাসের কারণে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সকালে বিভিন্ন যানবাহনগুলোকে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। শহরের মানুষরা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বেরিয়েছেন কর্মসংস্থানে। কেউ যাচ্ছেন দিন মজুরি দিতে, কেউ পাথর তুলতে, কেউ চা-বাগানে। তারা বলছেন, পেটের তাগিদেই শীতের দুর্ভোগ সহ্য করেই কাজে বেড়িয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত