ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুমড়াবড়ি তৈরিতে ব্যস্ত গৃহিণীরা

কুমড়াবড়ি তৈরিতে ব্যস্ত গৃহিণীরা

শীতের অন্যতম একটি সুস্বাদু ও পরিচিত খাবার কুমড়া বড়ি। তরকারির সাথে রান্না করে খাওয়ার প্রচলন বহু বছরের।

শীতের মৌসুম এলেই দেবহাটায় শুরু হয় কুমড়া বড়ি তৈরির মেলা। কিন্তু অন্য বছরের তুলনায় এ বছর শীতের শুরু ও শেষ মুহূর্তেও বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে দেবহাটার গৃহিণীরা। গ্রামের অনেকেই নিজেদের খাওয়ার জন্য ছাড়াও জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে এই কুমড়া বড়ি তৈরির কাজ।

দেবহাটা উপজেলার প্রায় প্রতিটা বাড়িতে দেখা যায় শীত এলেই বড়ি তৈরি করে। কার্তিক থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে কুমড়া বড়ি তৈরির উৎসব। অনেকে নিজেরা বা অনেকে আবার একসাথে মিলে তৈরি করে এই কুমড়ার বড়ি। বড়ি তৈরির ব্যাপারে উত্তর সখিপুর গ্রামের শাহজাহান মিস্ত্রির স্ত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, কুমড়ার বড়ি তৈরি গ্রামবাংলার পুরোনো ঐতিহ্য। তার বয়স ৪০ বছর, তিনি ছোট থেকে দেখে আসছেন শীতকাল পড়লে গ্রামের মা-বোন ও চাচিরা মিলে কুমড়া দিয়ে বড়ি তৈরি করতো।

সেটা খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়। এটা বিভিন্ন রকম তরকারির সাথে দিয়ে রান্না করলে তরকারিতে অন্য রকম স্বাদ আসে। আগে যেমন তারা দেখতেন মা-চাচিরা বাড়িতে শীল-নোড়া বা হিজুর-মালশা ফেলে ডাল কুটার কাজ করতো। কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোয়ায় ডাল কুটার মেশিন বের হয়েছে। তাই এখন তাদের অনেক কষ্ট কম হয়। নিজেদের পরিবারের চাহিদা মতো বড়ি তৈরি করেন।

অনেকে আবার জানান, গ্রামের মহিলা ও গৃহিনীরা তাদের আর্থিক লাভবান হওয়ার আশায় নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি কিছু উপার্জনের আশায় কুমড়া বড়ি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। এই কুমড়া বড়ি গ্রাম পর্যায় থেকে কিনে অনেকে আবার শহরে নিয়ে যান বিক্রি করতে।

এই বড়ি কেজি প্রতি ১২০ টাকা থেকে দেড়শত আবার অনেক ক্ষেত্রে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। যার কারণে অনেক মহিলারা এটাকে আবার পেশা হিসেবেও বেছে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত