স্বাভাবিক জীবনে ফেরার শপথ আদিবাসী নারীদের

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

চোলাইমদ আর হাঁড়িয়ার জন্য বিখ্যাত মিঠাপুকুর উপজেলার ২নং রানীপুকুর ইউনিয়নের বলদিপুকুর মমিনপুর আদিবাসী সাঁওতাল পল্লি। যুগের পর যুগ চলে আসা তাদের নিজেদের রীতিতে তৈরি নেশা জাতীয় পানি (হাঁড়িয়া) ও চোলাইমদ উৎপন্ন, সেবন এবং বিক্রি থেকে নিজেদের কোনোভাবে দূরে রাখতে পারছিলেন না। প্রশাসনিক নজরদারি এবং সামাজিক আন্দোলনেও যখন মাদক বন্ধ হচ্ছিল না, তখন মিলন টপ্য নামে এক আদিবাসী যুবকের মৃতদেহ পুকুরের পানিতে ভেসে উঠার পর আদিবাসী মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা বন্ধে নিজেরা এক্যবদ্ধ হয়।

চোলাই মদ এবং হাঁড়িয়া উৎপন্ন বন্ধে একজোট হয়। নিজেরা শপথ করেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচাতে তারা মাদক কারবার থেকে দূরে থাকবেন। অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে মৃত্যুহার ঠেকাতে একে অপরকে সহযোগিতা করবেন। কৃষি এবং শ্রমিকের কাজ করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আদিবাসী নারী জানান, এই পাড়ায় ১৭টি আদিবাসী পরিবার রয়েছে। চোলাই মদ উৎপন্ন এবং সেবনের কারণে তাদের প্রত্যেক পরিবার স্বামী নতুবা সন্তান হারিয়েছেন। এই পাড়ায় যে কয়েকজন পুরুষ বেঁচে আছেন তারাও বিভিন্ন রোগশোকে ভুগছেন। তাই নিজেদের সন্তানদের বাঁচাতে তাদের এমন উদ্যোগ। ইউপি-সদস্য ওয়াজেদ আলী জানান, আমরা তাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে। মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, যারা মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে তাদের প্রশাসন সব সময় সহযোগিতা করবে। ইউপি চেয়ারম্যান, আবু ফরহাদ পুটু জানান, আমরা তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করব।