কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের ফলে কমে গেছে শহর আর গ্রামের দূরত্ব। ফলে মানুষের দুর্ভোগ যেমন কমেছে, তেমনি বেড়েছে জীবন যাত্রার মান। দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথের যোগাযোগব্যবস্থা সমৃদ্ধ আধুনিক শহর ভৈরব। ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত এ জনপদে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। ফলে এ জনপদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়াতে উপজেলার কালিকা প্রসাদে গড়ে ওঠেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিসিক শিল্পনগরী। জানা গেছে, গেল ১৫ বছরে মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কালি নদীর উপর নির্মিত জিল্লুর রহমান সেতু, বিশেষায়িত ট্রমা হাসপাতাল ও ভৈরব পাওয়ার লিমিটেড। খেলাধুলার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়াম আর বিনোদনের জন্য নির্মাণ হচ্ছে নাজমুল হাসান পার্ক। এছাড়াও শিক্ষার মান উন্নয়নে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন যেমন নির্মাণ করা হয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নতি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভূমিহীনদের দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমিসহ পাকা ঘর। ফলে মানুষের কমেছে দুর্ভোগ, বেড়েছে জীবন যাত্রার মান। সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এর যেমন সুফল ভোগ করছে উপজেলাবাসী। তেমনি নতুন নতুন কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শহর আর গ্রামের দূরত্ব কমেছে। সরকারের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর। উপজেলার লুন্দিয়া গ্রামের লোকমান শিকদার জানান, এ সরকারের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শহরে পৌঁছা যায়। ফলে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী নেত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, সরকারের নানামুখী উন্নয়নের পাশাপাশি বেড়েছে নারীর ক্ষমতায়ন, দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। গেল ১৫ বছরে সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ড, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ এলজিইডির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র এলজিইডির মাধ্যমে প্রায় দুই শত কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হাসানাত মহি উদ্দিন।