শীতের পোশাক কিনতে ফুটপাতে ক্রেতাদের ভিড়

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ময়মনসিংহের ত্রিশালে শীতের শুরুতেই নিম্ন আয়ের লোকেরা শীতবস্ত্র কেনার জন্য ফুটপাতে ভিড় জমাচ্ছেন। রাতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের লোকেরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। গত কয়েকদিন ধরে তীব্রতা বাড়ায় প্রচণ্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন সূতিয়া ব্রিজসংলগ্ন রাস্তার ফুটপাতের দোকানগুলোতে। সরেজমিন দেখা যায়, ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। শীত বস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক তুলেছেন তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সূতিয়া ব্রিজসংলগ্ন রাস্তার দুপাশে ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে মৌসুমভিত্তিক দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কেনাবেচা চলছে পুরোদমে। সাধ্যের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করছে নিম্নবিত্ত দরিদ্র মানুষরা। শীত মৌসুম এলেই তাদের বিক্রির অবস্থা বেশ ভালো হয়। গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা থাকায় শীতার্ত মানুষ প্রচণ্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভিড় জমাচ্ছেন বড় শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। ফুটপাতের দোকানদার মুশারফ জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচাকেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম তুলনামূলক একটু কম হয়। কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। তবে দর কষাকষি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না। সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়। যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুষিয়ে নিতে পারেন। অন্যদিকে ফুটপাতের আরো কয়েকজন শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানায়, সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে এসব ফুটপাতগুলোতে। গার্মেন্ট আইটেমের চেয়ে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে আমাদের লাভ-লোকসান। সন্তানের জন্য শীতের পোশাক কিনতে আসা এক পিতা বলেন, ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের অনেক ভালো পোশাক পাওয়া যায়। শিশুদের দিকটা আলাদা। তাদের জন্য দেখে-শুনে ভালো শীতের পোশাক ক্রয় করি, দামের দিক দিয়েও মোটামুটি সস্তা। তবে দর-দাম করেই পোশাক কিনছি।