ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে নৌকা ও কাঁচি দ্বিমুখী লড়াই

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে নৌকা ও কাঁচি দ্বিমুখী লড়াই

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন চারজন। এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৯২৪। এখানে নৌকা ও কাঁচি দ্বিমুখী নির্বাচনি লড়াই হবে বলে সাধারণ ভোটাররা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, রাব, ডিবি, সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জানা গেছে, কেশবপুর আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বিজয় লাভ করে আসছে। এরইমধ্যে ১৯৯৬ ও ২০০১-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী এএসএইচ কে সাদেক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ শেখ আবদুল ওহাব, ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইসমত আরা সাদেক এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য হয়। ২০২০ সালের জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন পাগলাদার দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশগ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে একজনসহ মোট চারজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি (নৌকা), আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন (কাঁচি), সাবেক ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত), জেলা পরিষদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগকারি আজিজুল ইসলাম (ঈগল) ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী জিএম হাসান (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে মাঠে আছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কেশবপুরে নির্বাচনি আমেজ জমে উঠেছে। বিভিন্ন চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনি আলাপচারিতা। একাধিক ভোটাররা জানান, যশোর-৬ কেশবপুর আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা মরিয়া হয়ে উঠেছে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা একইভাবে তাদের কাঁচি প্রতীককে বিজয়ী করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বসে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল ও লাঙ্গল প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা। শেষমেষ এখানে নৌকা প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাধারণ ভোটাররা জানান। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৬ কেশবপুর আসন গঠিত হয়েছে। এই সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৯২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৩ ও মহিলা ১ লাখ ৮ হাজার ১০ জন ও তৃতীয় লীঙ্গের ১ জন ভোটার রয়েছে। নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ করতে ৮১টি ভোট কেন্দ্রে ৫০৮ কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত