জামিল হোসেনের বাংলা চ্যানেল পাড়ি

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর সৈকত পর্যন্ত স্রোতধারার নামণ্ড ‘বাংলা চ্যানেল’। ১৬ দশমিক ০১ কিলোমিটার দূরত্বের এ বাংলা চ্যানেলটি ০৪ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটে পাড়ি দিয়েছেন ১৮তম আসরের মো: জামিল হোসেন। গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর ২০২৩) সকাল ০৯টা ৩২ মিনিটে পাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে এ সাঁতার শুরু হয়। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন ৪৩ জন সাঁতারু। এরমধ্যে দু’জন নারী ছিলেন। দুই নারীর মধ্যে এক ভারতীয়, ওই নারী সাঁতারুর নাম রচনা শর্মা এবং বাংলাদেশি নারী সাঁতারুর নাম শোহাগী আক্তার। শেষ পর্যন্ত ০৩ জন তাদের সাঁতার শেষ করতে না পারলেও অপর ৪০ জন শেষ করেছেন। এরমধ্যে দুই নারী ভারতের রচনা শর্মা ০৫ ঘণ্টা এবং শোহাগী আক্তার ৪ ঘণ্টা ২৬ মিনিটে চ্যানেলটি পাড়ি দিয়েছেন।

এবারের সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা। ১৮তম বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২৩’-এর প্রধান সমন্বয়ক ও ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সাঁতার উদ্বোধন করেন টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী। বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা ও সালমান সাইদ। মো: জামিল হোসেন পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মরহুম মোজম্মেল হক মোল্লার কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি সাঁথিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে এসএসসি পাস করেন। তিনি বর্তমানে গণপূর্ত অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত আছেন।

এর আগে তিনি পদ্মা ২০ কিলোমিটার যমুনায় ৩৫ কিলোমিটার ও সুরমায় ৪৫ কিলোমিটার দূরপাল্লার সাঁতার কেটেছেন। তাছাড়া দুইবার সফলতার সঙ্গে যমুনা নদী ক্রস করেছেন।