চান্দিনায় পটোল চাষে সাফল্য পাচ্ছেন কৃষক

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কুমিল্লার চান্দিনার শ্রীমন্তপুর গ্রামে পটোল চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে পটোল চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই সব দরিদ্র সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। কয়েক বছর আগে ওই সব জমিগুলোতে কোনো প্রকার চাষাবাদ হতো না এবং কৃষকদের অভাব-অনটন লেগে থাকত। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস হতে বীজ, সার দিয়ে কৃষকদের ধানের পাশাপাশি সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। পটোল চাষিরা জানান, প্রতি শতাংশ জমিতে পটোল চাষে শ্রেণিভেদে খরচ পড়ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং উৎপাদিত পটোল বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। শ্রীমন্তপুর গ্রামের মনির হোসেন জানান, একসময় তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত। কিন্তু বর্তমানে পটোল চাষ করে তার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তাদের ৬৬ শতক জমিতে পটোল চাষ করে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ পটোল বিক্রি করে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা আয় করেছেন। কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, এবার তিনি ১৫ কাঠা জমিতে পটোল চাষ করেছেন। চার মাস পটলের জমি পরিচর্যায় গাছে ফল আসতে শুরু করে। এই ১৫ কাঠা জমি আবাদে তিনি এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা পটোল বিক্রয় করে ক্যাশ জমিয়েছেন। আগামীতে আরো ১ মাস এমনিভাবে ফসল তুলে বিক্রয় করতে পারবেন বলে জানান।

তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে এই জমি হতে ২ থেকে ৩ মন পটোল তুলেন। এখন যতই দিন যাবে ততই আরো বেশি ফসল তুলবেন। প্রতি কেজি পটোল তিনি ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। সামনের দিনে পটলের দাম আরো বাড়বে ফলে আরো বেশি লাভবান হবে বলে জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আফরিনা আক্তার বলেন, কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবানে জন্য সরকারের পক্ষ হতে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলায় অনেক জায়গাতে কৃষক পটোল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে। আগামীতে অত্র উপজেলায় পটোলের আবাদ বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।