ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৫ ডিগ্রি বেড়েছে তাপমাত্রা

শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও কুয়াশার আবরণে পঞ্চগড়

শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও কুয়াশার আবরণে পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে টানা পাঁচদিন পর কেটেছে শৈত্যপ্রবাহ। ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রা বাড়লেও উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়া কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। হিমেল হাওয়ার পরশে শীতের প্রকট অনুভূত হচ্ছে। গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত রোববার ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি, গত শনিবার ৯ দশমিক ৭, গত শুক্রবার ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল ভোর থেকে পরিবেশ কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে। এতে করে দেখা মিলছে না সূর্যের মুখ। বইছে ঠান্ডা বাতাস। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে রিকশা-ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। স্থানীয়রা জানান, গতকাল মেঘে ঢাকা সকাল। ভোরে সূর্য দেখা যায়নি কুয়াশার কারণে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত লাগছে। আমাদের অঞ্চলে বেশি ঠান্ডা সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়। রাত বাড়তে থাকলে বরফের মতো জমে যায় সব। সারারাত কুয়াশার সঙ্গে শিশির বৃষ্টি ঝরে। শিশিরও বরফের মতো ঠান্ডা। ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা। জেলার প্রথমশ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত রোববারের চেয়ে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে। গত বোরবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকে সূর্য ঢাকা রয়েছে। হিমেল বাতাস বইছে। বিশেষ করে শীত বেশি লাগার কারণ হচ্ছে বায়ুর গতি বেগ। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, সেটি শীতকালের। বাতাসের গতি বেগ বেশি হলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে। আর দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকায় ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত