ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ধামরাইয়ে শত্রুতার জেরে ইট ভাটায় হামলার অভিযোগ

৪ লাখ টাকা লুট
ধামরাইয়ে শত্রুতার জেরে ইট ভাটায় হামলার অভিযোগ

ঢাকার ধামরাইয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পূর্ব-শত্রুতার জেরে একই মালিকানাধীন দুটি ইটভাটায় সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর, শ্রমিকদের মারধর ও ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই ইটভাটার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও দুর্বৃত্তদের ভয়ে ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক পালিয়ে গেছেন। এতে দুটি ভাটাতেই ইটের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানান ভাটার মালিক ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা আব্দুল লতিফ। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকান সান ব্রিকস ও গোয়ালদী এলাকার লামিয়া ব্রিকস নামের ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকার সান ব্রিকসে ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেল করে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন দুর্বৃত্তরা এসে ইটভাটার কিলিনের ওপর উঠে পুড়াই শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে এবং শ্রমিকদের থাকার জন্য অস্থায়ী ঘর ভাঙচুর করে ইটভাটা বন্ধ করতে বলে। এছাড়া শ্রমিকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এ সময় অফিসের ক্যাশের তালা ভেঙে ক্যাশে থাকা ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা লুট করে নেয়। সান ব্রিকস এর শ্রমিক ইয়াদ আলী সিকদার বলেন, ২০ থেকে ২৫ জন মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ভাটার উপরে উঠে আগুন নিভায় দিছে, কয়লা ফালাই দিছে। কয়েকজনরে চর থাপ্পর মারছে, গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারছে। পরে আবার নিচে আইসা আমাদের মারধর করছে। আমি হাটতে পারি না এখন। আমাদের থাকার ঘরে লাঠি দিয়া বাড়ি দিছে, ইট মোক্কাই (ছুঁড়ে) মারছে টিন ছিদ্র হইয়ে গেছে। সান ব্রিকসের পাশেই একটি দোকানে বসে ছিলেন সোমভাগ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, আমি দোকানেই বসে ছিলাম। মাগরিবের নামাজের পরে ১৫ থেকে ২০টা মোটরসাইকেল আসছে। ইটভাটায় ঢুকছে আবার বের হইয়া চলে গেছে। ভেতরে ভাঙচুর বা কি হইছে আমি কিছুই জানি না। লামীয়া ব্রিকসের ম্যানেজার মোঃ হজরত আলী বলেন, আমি সন্ধ্যার দিকে সান ব্রিকস থেকে বের হয়ে কালামপুর স্ট্যান্ডে গেছি। তখন সান ব্রিকসের ম্যানেজার রুবেল আমাকে ফোন দিয়ে বলে যে, এ রকম মোটরসাইকেল নিয়ে জন লোক আইছিল। এসে ভাঙচুর করেছে শ্রমিকদের মারধর করে ভাটা বন্ধ করে দিছে। আমি দ্রুত লামীয়া ব্রিকসে এসে দেখি এই ব্রিকসেও ঢুকে ভাঙচুর করে শ্রমিকদের মারধর করে তাড়িয়ে দিছে। ভুক্তভোগী ইটভাটার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, মূলত রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা ভাঙচুর। আমি জন্ম থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছি। আমার পরিবার আত্মীয়স্বজনরা সবাই আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত। আমি বিভিন্ন সময়ে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করি, এলাকার দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করি। মানুষ আমাকে ভালোবাসে। এতে আমার এলাকার কিছু বিএনপি-জামায়াতের লোকের হিংসা হয়। তারা নিজেরা তো দুই টাকা দিয়ে কাউকে সাহায্য করবে না। আমি করলেও তাদের সমস্যা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমি যাতে কাউকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে না পারি, সেই কারণেই আমার ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভাটা শ্রমিকদের কাজ করতে বলে এসেছি এবং ভাটার মালিককে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত