ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুরোনো কাপড়ের দোকানে শ্রমজীবীদের ভিড়

পুরোনো কাপড়ের দোকানে শ্রমজীবীদের ভিড়

লালমনিরহাটে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু সাধারণ মানুষ। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুরোনো গরম কাপড়ের বিক্রি। গতকাল সকালে লালমনিরহাট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায় রাস্তার পাশে অস্থায়ী পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই থাকছে। কম দামে ভালো মানের গরম কাপড় কিনতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি অন্য দোকানগুলোতেও বেড়েছে বেচাকেনা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুরোনো কাপড় ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও রংপুর থেকে পুরোনো কাপড়ের বান্ডিল (বেল) কিনে তিস্তার চর অঞ্চলে বিক্রি করেন। পুরোনো কাপড়ের দাম কম থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ উষ্ণতা পেতে ভিড় করছেন ফুটপাতের হকার ও পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। কিনছেন সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি, ব্লেজার, শাল, কানটুপি ও হাতমোজা। হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তিস্তা সাধুর বাজার এলাকায় দেখা গেছে, একটি পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন দিনমজুর ও ভ্যানচালকরা। শীত নিবারণের জন্য কম টাকায় গরম কাপড় কেনার জন্য দরদাম করছেন। শীতের কাপড় কিনতে আসা রিকশাচালক সালাম মাহমুদ বলেন, পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানে আসছি। ঠান্ডা অনেক বেশি তাই কম দামে একটা জ্যাকেট কিনছি। জ্যাকেট পরে ভ্যান চালালে শীত কম লাগবে। পুরোনো কাপড় ব্যবসায়ী হোসেন আলী বলেন, গত কয়েক দিন থেকে এ এলাকায় ঠান্ডার তীব্রতা বেড়েছে। তাই গরম কাপড়ের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। এখানে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে একটি ভালো জ্যাকেট পাওয়া যায়। সোয়েটার ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় পাওয়া যায়। জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, তীব্র ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্কদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের নিউমোনিয়া ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই শীতে সবাইকে গরম কাপড় পরিধান করা উচিত। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতনতা বিষয়ক লিফলেট দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত