ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে শ্রমজীবীরা

কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে শ্রমজীবীরা

কুড়িগ্রামে ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। দিনের বেলা রোদ উঠলেও অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মেলে না। ফলে হেডলাইট জালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। গত দুই দিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাতভর ঘনকুয়াশায় ঢেকে থাকে জনপদ। গতকাল সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের একরামুল হোসেন বলেন, আমি হোটেলে কাজ করি, সকালে পানির কাজ করতে হয়। ঠান্ডার কারণে হাত পা বরফ হয়ে যায়। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে। ঠান্ডার মাত্রা এখনো কমেনি। আরেক শ্রমিক মো. সাইদুর রহমান বলেন, ভীষণ ঠান্ডা। কাজে যেতে মন চায় না। কিন্তু না গিয়েতো উপায় নাই। কাজ না করলে কি সংসার চলবে? তবে আমাদের চেয়ে শিশু ও বয়স্ক মানুষগুলোর শীতের কষ্টটা একটু বেশি। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ৩৫২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৬২ জন। হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরো দুই দিন এমন থাকবে। তবে চলতি মাসে একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত