অভয়ারণ্য

মাছ-কাঁকড়া ধরায় প্রজনন ব্যাহত

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্যে মাছ ও কাঁকড়া শিকার চলছে। মাছ ও কাঁড়া শিকারি জেলেরা জানান, সুন্দরবনের অভয়ারণ্যের ডিঙ্গিমারী, নোটাবেকী, পুস্ফকাঠি, দারগাং, পাতকোষ্টা, কাগাদোবেকী, আগুনজালা, মান্দারবাড়িয়া, বঙ্গবন্ধুরচর, পাকড়াতলীর চর হলদেবুনিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে অবাধে মাছ ও কাঁকড়া শিকার। মৎস্যজাত প্রাণীর প্রজননের জন্য এসব এলাকা অভয়ারণ্যে ঘোষিত থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সুন্দরবনের ভেতরের বনফাঁড়ি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জেলেরা বনে প্রবেশ করে ফাঁসজাল, বেইনজাল, বড়শী, নেটজাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ ধরছে। মাছধরার সময় মাছের যেসব রেণু জালে উঠছে, তা যে কোনো স্থানে ফেলায় রেণুগুলো মরে যাচ্ছে। এছাড়া প্রজননে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মৎস্যজাত প্রাণীর। জেলেরা জানান, আমরা বনঅফিস থেকে পাশ নিয়ে অভয়ারণ্যের ফাঁড়িগুলোকে ম্যানেজ করে মাছ ধরি। হরিনগর গ্রামের সুভাস জেলে জানান, কদমতলা অফিস থেকে পাশ নিয়েছি, এখন নোটাবেকী বন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ হয়েছে, সে মোতাবেক সুন্দরবনে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বনফাঁড়িকে ম্যানেজ করে মাছ ধরলে অল্প সময়ে অনেক মাছ পাওয়া যায়। কথা হয় দাতনেখালী গ্রামের জেলে আঃ মান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা বৈধ পাশ নিয়ে নোটাবেকী পুস্ফকাটির নদী ও খালে মাছ ধরি। তাতে বনকর্মচারীদের প্রতি সপ্তায় ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। তাতে বেশি টাকার মাছ পাওয়া যায়। আর পাশ না নিয়ে মাছ ধরলে প্রতি গোনে ৮০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। তিনি বলেন, পাশ নিয়ে গেলে ফাঁড়ি কর্মকর্তারা অসন্তষ্ট হয়। যেহেতু পাশ নিলে তারা টাকা কম পায় আর পাশ নিয়ে গেলে টাকা বেশি পায়। এভাবে অভ্যয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ধরার কারণে মৎস্যজতি প্রাণীর প্রজন্ম ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপরে কথা হয় সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফএকেএম ইকবাল হাসান চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন, অভয়ারণ্যে মাছ ধরা জেলে দেখলেই আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।