শীতজনিত রোগে হাসপাতালে রোগী বাড়ছে

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

তাপমাত্রা কমতে থাকায় কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতে ঠান্ডার দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গতকাল সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৪৩ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন হতদরিদ্র মানুষজন। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শুধু গত মঙ্গলবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ২০ জনের অধিক শিশু। সেখানে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন আক্রান্তরা। সেখানে সর্বমোট ভর্তি রয়েছে ৪৩ শিশু। এদিকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে নদনদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবীরা। জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি সাধিয়া নামের এক শিশুর মা রশিদা বেগম বলেন, শিশুর ডায়রিয়া নিয়ে গত পাঁচদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন ডায়রিয়া ভালো হয়েছে। তবে গতকাল আবার পরীক্ষা করে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। আরো যে কয়দিন হাসপাতালে থাকা লাগে আল্লাহ জানেন। সদরের পৌর শহরের হাটির পাড় এলাকার কলা বিক্রেতা মোজাম্মেল হক বলেন, দুই-তিন দিন থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। এমন কুয়াশায় কাজও করা যায় না, ঠান্ডায় মানুষ কলাও কিনতে চায় না। গত দুই তিন দিন থেকে সারা দিনে রোদ ওঠেনি। খুব সমস্যায় পড়েছি, কী যে হবে আল্লাহই জানে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন এমন থাকবে। তবে এ মাসে আরো একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।