ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

চাঁদপুরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

পদ্মা-মেঘনায় বছরজুড়ে নিষিদ্ধ থাকলেও চাঁদপুর শহরের একাধিক বাজার ও পাড়া-মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছের পোনা জাটকা। আর এসব জাটকা বিভিন্ন দরে ক্রয় করছেন ক্রেতারা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের কালিবাড়ী মন্দির সংলগ্ন চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

জাটকা বিক্রির বিষয়ে মৎস্য বিভাগ জানান, খুব শিগগিরই অভিযানে নেমে জাটকা ধরার ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। শহরের পুরাণ বাজার দোকানঘর এলাকার জাটকা বিক্রেতা মো. নুরুল আমিন জানান, তিনি এসব জাটকা বহরিয়া এলাকা থেকে ক্রয় করেছেন। দুই ভাগে তিনি ৭ হাজার ৫০০ টাকার জাটকা ক্রয় করেছেন জেলেদের কাছ থেকে। এর মধ্যে একদম ছোট সাইজের জাটকা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩২০ টাকা এবং একটু বড় সাইজেরগুলো বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা।

তবে সবগুলো জাটকাই ১০ ইঞ্চির কম দৈর্ঘ্য। সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে সাত ইঞ্চি দৈর্ঘ্য হবে। এছাড়াও গত কয়েকদিন শহরের পালবাজার এলাকা এবং ওয়ার্লেস বাজারে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে একাধিক মাছ ব্যবসায়ীকে। তাদের কাছে কোনোভাবেই মনে হচ্ছে না জাটকা ধরা ও বিক্রি করা অপরাধ।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, বছর জুড়েই জাটকা ধরা নিষেধ। এছাড়া ইলিশ ডিম ছাড়ার পর নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত আট মাস জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ।

এর মধ্যে মার্চণ্ডএপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষেধ থাকে। জাটকা বিক্রির বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। এসব জাটকা চাঁদপুরের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের জেলেদের আহরণ করা জাটকা। চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, জাটকা ধরার খবর আমাদের কাছে এসেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত ছিল। এখন আমরা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করব। এছাড়াও মৎস্য বিভাগ ছাড়া থানা পুলিশ এবং নৌপুলিশ যে কোনো সময় নিজেরাই অভিযান করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনে বলা আছে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদের এবং তার ওপরের পদের কর্মকর্তা মৎস্য বিভাগ ছাড়াই জাটকা আহরণকারী ও বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে পারবেন। তিনি আরো জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে মৎস্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ভার্চুয়ালি একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মৎস্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও নৌপুলিশ যুক্ত থাকবে। এই সভার পরেই আমরা অভিযানে নামব। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় শুধুমাত্র মৎস্য বিভাগ নয়, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিক এগিয়ে এলে জাটকা অনেকাংশ রক্ষা পাবে। প্রতিবাদ হিসেবে আমাদের জাটকা ক্রয় করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত