হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

টানা ৪ দিন ধরে উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁও?য়ে তীব্র ঠান্ডা বাতাসে কারণে নাকাল হয়ে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও অসহায় পরিবারগুলো। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে দিন কাটছে তাদের। অনেক ব্যক্তি বা সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত তিনদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। গতকাল সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। ঠাকুরগাঁও সদরের প?শ্চিম বেগুনবাড়ী ধামপাড়া এলাকার খিরপ্রসাদ, স?নেকা বালা, স্মৃ?তি রায়, ন?রেন রায়, বিরতা রায়, নুনিবালাসহ একা?ধিক শীতার্ত ব্যক্তি ব?লেন, প্রতিবারই শুনি সরকারি কম্বল দেছে কত জায়গাত। কিন্তু হামরা একটাও পাইনি কোনোবার। ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ ম?তিনাল বর্মন বলেন, দিনে থাকা গে?লেও রাই?তে জারে (প্রচণ্ড শীত) ঘুমে আই?সে না। সরকার গরিব মাই?নসেক (মানুষকে) কম্বল দেয় শুনেছু, কোনো সময় একখানও পাইনি। শীতে তো গ্রামের লোকেরই কষ্ট বেশি। অ?টোচালক জাহেদুল ইসলাম বলেন, শীতের জন্য রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। আর রাস্তায় মানু?ষের চলাফেরাও ক?মে গে?ছে। এ কারণে রোজগার একেবারেই কমে গেছে। সদর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের কৃষক ন?গেন পাল বলেন, ঠান্ডার কারণে ফসলের খেতে কাজ করতে না পারায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ শুরু করলও বেশিক্ষণ খেতে থাকা যাচ্ছে না। কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা ও শরীর অবশ হ?য়ে আস?ছে। ঠাকুরগাঁও হাসপাতা?লের আবা?সিক চি?কিৎসা কর্মকর্তা রকিবুল আলম ব?লেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগী হাসপাতা?লে বেশি আসছে। শীতজ?নিত রোগী বে?শিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ র?য়ে?ছে। আমরা তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ঠাকুরগাঁও ত্রাণশাখার অ?ফিস সহকা?রী ত?সিরুল ইসলাম ব?লেন, জেলার ৫?টি উপ?জেলায় ৩২ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।