ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইট-ধানের কুড়া মিশিয়ে তুঙ্গে হলুদ ব্যবসা

ইট-ধানের কুড়া মিশিয়ে তুঙ্গে হলুদ ব্যবসা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার আমবাগানসহ ধাপেরহাট নামক এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গুঁড়া হলুদ তৈরি কারখানা। এসব কারখানায় খেতের হলুদের সঙ্গে ইটের ও ধানের কুড়াসহ রং মিশিয়ে মেশিনে তৈরি করা হচ্ছে গুঁড়া হলুদ। এই হলুদগুলো প্যাকেট করে পাইকারি দামে বাজারজাতে মেতে ওঠেছে বিশাল একটি চক্র। তারা ভেজাল গুঁড়া হলুদ বিক্রি করে হঠাৎ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বুনেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। জানা যায়, ওই উপজেলার হলুদ চাষখ্যাত এলাকা হচ্ছে ধাপেরহাট ইউনিয়ন। এ অঞ্চলের এমন কোনো কৃষক নেই যিনি হলুদ আবাদ করেন না। এখানকার প্রায় প্রত্যেক কৃষক যুগযুগ ধরে হলুদ আবাদ করে আসছেন। এর ফলে সরকারি প্রকল্প থেকে হলুদ পল্লি এলাকা হিসেবেও নামকরণ করা হয়েছে। এই সুযোগে আমবাগান ও ধাপেরহাটসহ আশপাশ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠেছে গুঁড়া হলুদ কারখানা। এ কারখানাগুলোতে ইটের গুঁড়া, ধানের কুড়া ও রংসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপকরণ দিয়ে মেশিনে তৈরি করে চলেছে গুঁড়া হলুদ উৎপাদনের মহোৎসব। স্থানীয় প্রভাবশালী, নামধারী সাংবাদিক ও পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে তারা নির্বিকারে চালিয়ে যাচ্ছে ভেজাল গুঁড়া হলুদ ব্যবসা। এরই ধাবাহিকতায় গত বুধবার বিকেলে ধাপেরহাটস্থ প্রস্তুতকারক ও মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান সাদিয়া ফুড প্রোডাক্টসে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। সময় ভেজাল গুঁড়া হলুদ প্রস্তুত করার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ কারখানার মালিক বাবলু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল কারবার চালিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিশেষজ্ঞরা জানান, খাটি গুঁড়া হলুদ কেনার আগে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। বিশ্বস্ত কোনো কারখানার হলুদ গুঁড়া কেনার চেষ্টা করতে হবে। তবে যদি বাজার থেকে কাঁচা হলুদ কিনে নিজেই গুঁড়ো বানিয়ে হলুদ তরকারিতে খাওয়া যায় সেটা সবচেয়ে উত্তম। নচেৎ ভেজাল গুঁড়া হলুদ খেয়ে শরীরে জটিল-কঠিন রোগ দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ভেজাল খাদ্যপণ্য প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ধাপেরহাটে গুঁড়া হলুদ তৈরি কারখানা সাদিয়া ফুড প্রোডাক্টসে অর্থদণ্ড করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত