হাটে আমন ধানের সরবরাহ কম

মণপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০ টাকা

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

নওগাঁয় হাটে আমন ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় বেড়েছে দাম। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতিমনে দাম বেড়েছে ৮০-১০০ টাকা। কৃষকদের ঘরে এখন ধান না থাকায় দাম বাড়লেও খুশি না তারা। এদিকে ধানের দাম বাড়ায় বেড়েছে চালের দামও। চালের দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৯ লাখ ৭ হাজার ৫২৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। কৃষকদের কাছ থেকে ধান চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের কাছে। প্রান্তিক কৃষকদের ঘরে এখন ধান নেই বললেই চলে। তবে জোতদার কৃষকদের ঘরে কিছুটা ধান আছে। এ কারণে মিলমালিকরা ইচ্ছেমতো চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। গতকাল ছিল জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাট। ভোর থেকে এ হাটে ধান বেচাকেনা শুরু হয়। হাটে ধানের সরবরাহ কমায় গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণে দাম বেড়েছে ৮০-১০০ টাকা। স্বর্ণা-৫ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৩০ টাকা, ব্রিআর ৪৯ জাত ১ হাজার ২০০ টাকা মণ। এছাড়া সুগন্ধি আতব জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা মণ। এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে শহরের পৌর খুচরা চাল বাজারে প্রতিকেজি চালে দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা। কাটারি ও জিরাশাইল ৭০ টাকা, ব্রিআর ৪৯ জাত ৫৫ টাকা এবং স্বর্না ৫- ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। মহাদেবপুর উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের কৃষক সুজিত বলেন- এ বছর ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছিল। প্রতি বিঘাতে ফলন পেয়েছি ১৭-১৮ মণ। গত ১৫ দিনে প্রতি মণ ধানে ১০০ টাকা দাম বেড়েছে। হাটে ১০ মণ ধান নিয়ে এসে ১ হাজার ২৩০ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করলাম। অথচ মৌসুমের শুরুতে এ ধান বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৫০ টাকা মণ। ঘরে এখন ধান নাই বাজারে দাম বেড়েছে। দাম বেড়েতে লাভ হচ্ছে। হাটে যে ধান বিক্রি করলাম, এখন বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। একই উপজেলার খুদ্রনারায়নপুর গ্রামের কৃষক মোহাতাব আলী বলেন- দুই বিঘাতে আমন ধানের আবাদ করেছিলাম। গত ১ মাসের ব্যবধানে প্রতিমণ ধানের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। ঘরে শুধু খাওয়ার জন্য ধান রেখে প্রায় সব ধান বিক্রি করে দিলাম। ধান ব্যবসায়ী সুইট হোসেন বলেন, কৃষকদের ঘরে ধানের পরিমাণ কমায় হাটের সরবরাহ কমেছে। এ কারণে মনে ৮০-১০০ টাকা বেড়েছে। হাটে যে পরিমাণ ধান আসছে ব্যবসায়ী বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন- হাটে ধানের সরবরাহ কমেছে। বাড়তি দামে ধান কিনায় খরচ পড়ছে বেশি। এ কারণে চালের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজিতে পাইকারিতে ১-২ টাকা বেড়েছে।