কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্তের আশঙ্কা বীজতলা

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এ মৌসুমে ৫৯৮ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ১৫০ হেক্টর ও উফশী ৪৬৫ হেক্টর জমিতে বীজ তলা তৈরি করা হয়েছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ রকম আবহাওয়া ধারাবাহিকভাবে থাকলে বীজতলার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে কৃষি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার চারা লালচে হলুদ হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। অনেকেই বীজতলা রক্ষায় কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে রাতে পানি রাখছে বীজতলায় এবং সকাল হলে তা সরিয়ে ফেলছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ম্মোদেল হোসেন বলেন, শীতের প্রকোপ ও ঘনকুয়াশায় বীজ তলায় পলিথিন ব্যাবহার করলে কোল্ড ইনজুরি থেকে বীজ তলা রক্ষা পাবে।

পলিথিন ব্যবহারের ফলে বীজতলা গরম হয়ে থাকে এবং কুয়াশা পলিথিন ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না, যার ফলে কোল্ড ইনজুরি থেকে বীজ তলা রক্ষা পায়। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, এ মৌসুমে এ উপজেলায় ৫৯৮ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

এর মধ্যে হাইব্রিড ১৫০ হেক্টর ও উফশী ৪৬৫ হেক্টর জমিতে বীজ তলা তৈরি করা হয়েছে। সারাদেশের মতো এ অঞ্চলেও কয়েকদিন থেকে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা। এই ঘনকুয়াশার কারণে বীজতলা নষ্ট হয়। কিন্তু এখনো বীজতলা নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি।

তবে এ রকম আবহাওয়া আর কিছু দিন থাকলে বীজতলা নষ্ট হতে পারে। এজন্য কৃষি অফিস থেকে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি নিয়মিত। সেই সঙ্গে মাঠে মাঠে গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখছেন আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষকরাও আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, বীজতলা নষ্ট হওয়ার মূল কারণ তীব্র শীত। এজন্য রাতের বেলায় বীজতলায় পানি রাখতে হবে এবং দিনের বেলায় পানিটা সরিয়ে ফেলতে হবে। তাহলে এটি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এসব বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার জন্য ইউরিয়া ও জিপসাম সার প্রয়োগের পাশাপাশি প্রতিদিন বীজতলার কুয়াশা ঝেড়ে দিতে হবে। চারাগুলোকে পারলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।