সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম দ্বিগুণ

শরীয়তপুরে সবজির বাজারে ব্যবসায়ীরা একেক দোহাই দিয়ে রীতিমতো লুটপাট করছে। কাটছে ভোক্তার পকেট। এই ভরা মৌসুমেও অস্বাভাবিক দামে বিক্রি করছে সবজি। বাজারে এখন অধিকাংশ সবজির কেজি ১০০ টাকার ওপরে। শীতের ভরা মৌসুমেও গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে। গতকাল শরীয়তপুরে সবজির বাজারে একটি লাউয়ের দাম উঠেছে ১২০ টাকা, যা তিন বা চার সদস্যের পরিবারে এক দিন হবে না। এক কেজি বেগুনের দাম ১০০।

শিমের কেজি এখনও ১২০ টাকা। এছাড়া একটি ফুলকপি ৬০ ও পাতাকপিও ৫০ টাকার কমে মিলছে না। শীতের ভরা মৌসুমেও গত দুয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচাবাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তারা। যদিও বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। শরীয়তপুরের ডোমসার বাজার, শৌলপাড়া, লাউখোলাসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও পেঁয়াজ (দেশি) ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে ফুলকপি পিসপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডোমসার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মাদবর বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম দুই থেকে তিনগুণ বেশি। তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। লাউখোলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাস বলেন, সবজির মৌসুমেও সবজির দাম বেশি। তবে আমাদেন ক্রয় যেমন বিক্রি তেমন। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সবজি চাষ হওয়ার কারণে আমরা তাজা শাক থেকে সবজি খেতে পারি। তবে এই সবজির মৌসুমে টমেটো, মুলা, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। ডোমসার বাজারে কথা হয় এক মুদি দোকানির সঙ্গে।

তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি আলু, ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ও ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলাম। কিন্তু এই বছর সবজির দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। লাউখোলা বাজারে আকবর হোসেন বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি সবজি কেনা কমাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি জানান, আমাদের এলাকায় এত সবজির চাষ হয়, তবুও এত দাম কেন জানি না। ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে এলে সবজি কিনলে মাছ থেকে গোশত কেনার টাকা আর থাকে না।