ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য

শ্যামনগরে পাউবোর বাঁধে ভাঙন

শ্যামনগরে পাউবোর বাঁধে ভাঙন

শ্যামনগরে পাউবোর বাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে ও স্লুইচ গেট করে নোনা পানি তোলায় বাঁধে ভাঙন ধরছে। হাইকেটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শ্যামনগরের প্রভাবশালী চিংড়িঘের মালিকরা পাইপ বসিয়ে ও স্লুইচ গেট করে নোনা পানি তুলছে যে কারণে বিভিন্ন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে ভাঙন ধরেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষ্ণপদ মাস্টার, মাফুজসহ শত শত ঘের মালিক দুরমুজখালী এলাকায় কালিন্দি নদীর বাঁধসহ বিভিন্ন বাঁধে স্লুইচ গেট করে নোনা পানি সরবরাহ করছে বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে পাইপ বসিয়ে নোনা পানি তুলছে ফলে সে সব স্থানে বাঁধে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কারণে প্রতি বছর জোয়ারে বাঁধ ভেঙে ডুবছে এলাকার জনবসতি, ধানসহ নান ফসল।

এলাকাবাসী জানান, পাউবো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তুষ্ট করে পাইপ বসনো বা স্লুইচ গেট করা হচ্ছে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে পাইপ বা স্লুইচ গেট করে প্রভাবশলীরা চিংড়ি ঘের করাসহ বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে নোনা পানি সরবরাহ করছে। সরকার প্রতি বছর বাঁধ মেরামতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও বছর ঘুরতেই আবার বাঁধে ভাঙন দেখা যাচ্ছে। সচেতন মহল বলছে অবৈধ পাইপ, বাস্ককল বা অপরিকল্পিত স্লুইচ গেট বন্ধ না হলে বাঁধে ভাঙনে রক্ষা করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে কথা হয় অভিযুক্ত অনেক পাইপ বাক্সকল বা স্লুইচ গেট মালিকের সাথে তারা বলেন, পাউবো কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযেগ করে এসব করা হয়েছে এ ব্যাপারে কথা হয় শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলীর সাথে তিনি বলেন, আমাদের অজান্তেই এসব অবৈধ পাইপ বাক্সকল বা স্লুইচ গেট করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজিবুল আলমের সাথে তিনি বলেন, অবৈধ পাইপ বাক্সকল ও স্লুইচের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। নোটিশও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত