ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুন্সীগঞ্জে বেড়েছে

শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত

শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত

টানা তিন দিন ধরে মুন্সীগঞ্জ জেলায় সূর্যের আলোর দেখা যাচ্ছে না। সন্ধ্যা হলে কুয়াশার সঙ্গে শিশির পড়তে দেখা যায়। ভোর থেকে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে পুরো মুন্সীগঞ্জ। বৃষ্টির মতো শিশির পড়ে জেলায়। অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বাহির হচ্ছে না। সারা দিন জেলার কোথাও সূর্যের আলো দেখা যায়নি। বেলা যত বাড়ছে ঠান্ডা তত বাড়ছে। বাহিরে কেউ বের হতে পারছে না। গতকাল রোববার সকাল থেকে জীবন জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বের হলেও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে তাদের। মুন্সীগঞ্জের মানুষ অতিরিক্ত ঠান্ডায় যবুথবু অবস্থায় রয়েছে। পৌরসভার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, ঘন কুয়াশা এবং অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে সাধারণ মানুষ কর্মে বের হতে পারেনি।

শহরের মার্কেটগুলোতে তেমন কোনো ক্রেতা নেই। ক্রেতাশূন্য বাজারই বলা চলে মুন্সীগঞ্জের শহরে। আমরা আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন অধিকাংশ জায়গায়। আধারা, আলির টেক, বকচর, দিঘিরপাড়, লৌহজং কলমা, ডহুরী এলাকায় রীতিমতো শীতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের বেলা যত বাড়ছে অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং ঘন কুয়াশা তত বাড়ছে। কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও ঠান্ডায় ক্লাস বর্জন গরম খাবারের আয়োজন করেছে যাতে করে ঠান্ডার তীব্রতা থেকে বাচা যায়। পাঁচ চর এলাকার গরিব কৃষক ও দিনমজুর মানুষ এই শীতে মানবতার জীবনযাপন করছে। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান অসহায় মানুষগুলো। বাংলাবাজারের ভ্যানচালক রাজ্জাক জানান, কুয়াশা এবং অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে অনেকেই ভ্যান নিয়ে বসে আছি। কোন মালামাল ডেলিভারী নেই। মার্কেটে কোন মানুষজনই নেই। ফলে কাজকর্মও করতে পারছি না ঠান্ডায়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্টোক, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট রোগী বেড়ে গেছে এবং ঠান্ডাজনিত রোগী বর্তমানে সদর হাসপাতালে অনেক বেশি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত