গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে হত্যা চেষ্টা

দুই নারী আটক

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে লাউয়ের গাছ ছেঁড়ার সন্দেহে সোনিয়া বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী অপর তিন নারীর বিরুদ্ধে।

গত শনিবার রাত ৮টার দিকে তীব্র শীতের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সোনিয়ার দুই সন্তানের চিৎকারে অন্য প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে পুকুর থেকে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করেন। গৃহবধূ সোনিয়া খাতুন শ্রীরামপুর সরকার পাড়ার ফারুক মোল্লার স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই ওই গ্রামের মৃত মবিদুল ইসলামের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৪০) ও হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহেনাজ বেগমকে (৩৫) আটক করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোনিয়া খাতুন জানান, তার প্রতিবেশী মেহনাজ খাতুন কিছুদিন আগে রাস্তার পাশে কয়েকটি লাউ গাছ লাগান। কিন্তু কে বা কারা তার একটি লাউ গাছ ছিঁড়ে ফেলে। কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকদিন আগেও তিনি সোনিয়াকে মারধর করেন। গত শনিবার পুনরায় আরেকটি গাছ কেউ ছিঁড়ে ফেললে রাত ৮টার দিকে মেহনাজ বেগমসহ তিন প্রতিবেশী সোনিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়। এ সময় তারা সোনিয়াকে মারধর করে এবং চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। পরে তার হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। এ সময় সোনিয়ার সন্তানদের চিৎকারে অন্য প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করেন। সোনিয়া বেগমের মেয়ে জুথি খাতুন জানায়, কয়েকদিন আগেও তারা তার মাকে মারধর করে। শনিবার রাতেও তারা তার মাকে বাড়ির উঠান থেকে চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে নিয়ে যায়। এ সময় তারা মায়ের মুখে ওড়না ঢুকিয়ে হাত পা-বেঁধে পুকুরের কাদা পানির মধ্যে ফেলে দেয় এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।