ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে গরু চুরি

ঈশ্বরদীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে গরু চুরি

ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেড়েই চলছে গরু চুরির ঘটনা। সপ্তাহের ব্যবধানে ৯টি গরু চুরি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় পিকআপ ও মাইক্রোবাস ব্যবহার করে খুব সহজেই করা হয় চুরি। এদিকে জীবিকার একমাত্র অবলম্বন গবাদি পশু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক দরিদ্র কৃষক।

তবে সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে জেলায় গরুসহ আন্তঃচোর দলের একাধিক ব্যক্তি আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মূলহোতারা। তাই থামছে না চুরিও।

ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে কৃষক আশরাফুল আলম চেতন জানান, গত ১৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে তার গোয়ালঘর থেকে আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ২টি গরু চুরি হয়েছে যার মধ্যে ১টি গাভী ও ১টি ষাঁড়। গরু দুটির আনুমানিক মূল্য দুই লাখ টাকা। চুরির ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় জিডি করেছি। উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মৃত কবির উদ্দিন এর ছেলে আব্দুল বাতেন বিপুল জানান, গত ১৩ জানুয়ারী দিবাগত রাতের কোন এক প্রহরে তার গোয়াল ঘরের তালা কেটে আনুমানিক ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাভী চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোর দল। তিনি আরো জানান, চোর দলের চুরির কাজে পিকআপ ও চোরদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য সাদা রঙের মাইক্রোবাস ব্যবহার করে। চুরির বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বয়রা গ্রামের আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, চুরি করা গরু পাচারের জন্য পিকআপ ও মাইক্রোবাস ব্যবহার করে থাকে চোর চক্রের সদস্যরা। তিনি জানান, গবাদি পশু চুরির কারণে অতিষ্ঠ গ্রাম এলাকার বাসিন্দারা।

উপজেলার মাজদিয়া ইলশামারি গ্রামের আলতাফ মন্ডলের ছেলে শহিদ মন্ডল জানান, গত ১০ জানুয়ারি দিবাগত রাতে আমার দুটি বলদ গরু ও একটি গাভী এবং মাজদিয়া পশ্চিম খাঁ পাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাইফুল এর বাড়িতে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে সংঘবদ্ধ চোর দল। দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার বলেন, চুরির বিষয়টি আমি শুনেছি। বয়রা-সুলতানপুর থেকে এবং পাড়াশিধাই গ্রাম থেকে দুই দিনের ব্যবধানে ৬টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমি এলাবাসীকে আহবান জানাচ্ছি প্রতিটি গ্রামে রাতে ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করার এবং ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি আহবান জানাচ্ছি পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করার জন্য। এর ফলে চুরি ঘটনা কমবে বলে আশা করি। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গবাদি পশু মালিকদের অসচেতনতার কারণেও সুযোগ পাচ্ছে চোরেরা। নিজ বাড়ির গোয়ালঘর অরক্ষিত দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। আমরা চোরদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি, পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি গ্রামে রাতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করলে চুরির ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত