ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাধবপুরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিপাকে চা শ্রমিকরা

মাধবপুরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিপাকে চা শ্রমিকরা

ভোরে কুয়াশার চাদরে মোড়ানো মেঠোপথ ধরে তীব্র শীত উপেক্ষা করে চা-পাতা তুলতে যান শ্রমিকরা। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চা-বাগানগুলোর অতি পরিচিত এই দৃশ্যে কষ্ট দিচ্ছে কয়েকদিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

উপজেলার ৫টি বাগানে শত শত চা-শ্রমিক পরিবার শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাদের। তীব্র শীত মোকাবিলা করে কাজ করতে হচ্ছে। বাগানের ভেতর সবুজ ঘেঁষা গাছপালা বেশি থাকায় ঠান্ডার মাত্রা বেশি। ন্যাশনাল টি কোম্পানি তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের শ্রমিক নেতা স্বরজিৎ পার্শী বলেন, শীত এলে আমাদের দুর্ভোগ ও কষ্ট বেড়ে যায়। সময়ের বিবর্তনে সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন এলেও ভাগ্য ফেরেনি চা-শ্রমিকের। তীব্র শীত উপেক্ষা করে শ্রমিকরা চৌকিদারের ডাকে সকালের ঘুম থেকে উঠে সাংসারিক সব কাজকর্ম শেষ করে তারপর চা-বাগানে কাজ করতে যান। শ্রমিকনেতা লালন পাহান বলেন, চা-বাগানের শীত ঝেঁকে বসায় অধিকাংশ চা-শ্রমিকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

স্বল্প আয়ের চা-শ্রমিকরা পর্যাপ্ত গরম কাপড় কিনতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য তাদের সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। ন্যাশনাল টি কোম্পানি জগদীশপুর চা-বাগানের শ্রমিকনেতা নারায়ণ কুর্মী বলেন, শ্রমিকরা প্রকৃতির সাথে লড়াই করে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ১৭০ টাকা মুজরি ও রেশন দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলা খুবই কঠিন। অনেক শ্রমিক ও তাদের শিশু সন্তানরা ঠান্ডাজনিত নানা অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল বলেন, মাধবপুরের একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় ৩৫০টি কম্বল দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত