ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কনকনে শীতে কাঁপছে জনজীবন

কনকনে শীতে কাঁপছে জনজীবন

সাতক্ষীরায় হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে কাঁপছে জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে শীত ও কুয়াশার সঙ্গে বইছে মৃদু বাতাস। তীব্র শীতে নাকাল জনজীবনের পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। কৃষকরা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের কুয়াশায় এরই মধ্যে অনেক ফসলে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। অনেক স্থানে পেঁয়াজের পাতায় দেখা দিয়েছে পচন। পলিথিন দিয়ে ঢেকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না বোরো বীজতলা। এ অবস্থা দীর্ঘদিন চললে রবিশস্য ও বোরোর আবাদে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। জেলার তালার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার সারাদিন সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে আর বাড়িয়ে দিয়েছে। দিনভর বোরো ধান রোপণে করতে হয়েছে অনেক কষ্টে। এখানকার স্থানীয় কৃষক মো. রেজাউল ইসলাম জমিতে আলু, বেগুন, সরিষাসহ শীতের বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টিতে আলুর বেশ ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার তীব্র শীতের কারণে ফসল নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। এদিকে, ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা পড়েছে ভোগান্তিতে। গতকাল সকাল ৬টায় সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, প্রতিদিনই শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে। শীতে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত