সাগরে প্রতিদিন ধরা পড়ছে ১০ লাখ টাকার সোনা বাইন মাছ

রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

চলতি শীত মৌসুমে সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণ সোনা বাইন মাছ। বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে আসা প্রতিটি ট্রলারেই দেখা মিলছে এ মাছের। দেশের মধ্যে এ মাছের চাহিদা কম থাকলেও রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।

প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার সোনা বাইন বিক্রি হয় এ ঘাটে। পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাট এলাকার একজন মৎস্য আড়তদার মো. মুসা বলেন, এখন সাগরে সোনা বাইন একটু বেশি পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার সোনা বাইন মাছ বেচাকেনা হয় এখান থেকে। এই মাছ ধরা পড়ায় জেলেরা এখন খুশি। ইল গোত্রীয় এই মাছ সাধারণত শীত মৌসুমেই বেশি পাওয়া যায়।

তবে বিদেশে এর কদর বেশি থাকায় রপ্তানি করার লক্ষ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ঘাট থেকে এ মাছ ক্রয় করে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠান। বরগুনার পাথারঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সাগর থেকে মাছ শিকার করে ঘাটে ফিরছে এক একটি ট্রলার।

প্রতিটি ট্রলারেই ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। এর মধ্যে প্রতিদিন ঘাটে আসা প্রায় প্রতিটি ট্রলারেই ২০ থেকে ২৫ মণ সোনা বাইন মাছ শিকার করে ঘাটে নিয়ে আসেন জেলেরা। জাত ও আকারভেদে প্রতি মণ সোনা বাইন বিক্রি হয় ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। সাইফ ফিসের আড়তদার মো. আলম বলেন, এই শীত মৌসুমে জেলেরা গভীর সমুদ্রে বড় ফাঁসের জাল দিয়ে সোনা বাইন মাছ শিকার করেন। এ মাছ দুই ধরনের হয় সাদা বাইন প্রতি মণ ২০ থেকে ২৫ হাজার এবং সোনালি বাইন প্রতি মণ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এ বিষয়ে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা ও মৎস্য গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সোনা বাইন হচ্ছে ইল গোত্রের মাছ।

বিশেষ করে এই মাছ শীতকালে প্রজননের জন্য এ অঞ্চলে আসায় বেশি পাওয়া যায়। এ মাছের পেটের মধ্যে যে বালিশ থাকে তা খুবই দামি হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি হয়। এ মাছের বালিশগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। চীন ও মালয়েশিয়ায় এ মাছের বালিশগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে খাদ্য তৈরি করা হয়।