ঈশ্বরদীতে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা)

হিমেল হওয়ায় ঘরের বাইরে বের হলেই জবুথবু অবস্থা। মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। দিনের আলো নিভে গেলেই ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ে কয়েকগুণ। এমন ঠান্ডা থেকে মিলছে না মুক্তিও। উপজেলায় ঘন কুয়াশায় ও শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঠান্ডা বাতাসের সাথে জেঁকে বসেছে শীত। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, গতকাল রোববার সকাল ৯টায় ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসর রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বেশি শীতের তীব্রতা অনুভূতির কারণ হচ্ছে উত্তরের হিমেল কনকনে বাতাস বইছে। দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশায় সূর্য দেরিতে দেখা যাচ্ছে। সে কারণে কমেছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য। ফলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যাওয়ায় সব প্রক্রিয়াই বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশা আর শীতের দাপটে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষরা বেসামাল হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় রাস্তাঘাটে ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল ও স্থানীয়দের গ্রামীণ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সাথে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কুয়াশা ঝরছে ব্যাপকভাবে। এই শীতে ও ঘন কুয়াশায় শিশু এবং বৃদ্ধরা শারিরীকভাবে নানা সমস্যায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জামরুল আলী জানান, শীতে তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পাচ্ছেন না। এতে তার কাজ কর্ম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। ভ্যানচালক হামিদুল ইসলাম জানান, ঘন কুয়াশা ও শীতে রাস্তায় ভ্যান নিয়ে বের হলেও তেমন লোকজন হচ্ছে না। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। খেটে খাওয়া দিনমজুর সময়মতো কাজে যেতে না পারায় বিপদে রয়েছেন। কাজ করতে না পারায় রোজগার হচ্ছে না তাদের। এতে তারা সংসার পরিচালনার খরচ নিয়ে চিন্তিত। এদিকে উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বিপরীতে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত চার হাজার শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।