ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গো-খাদ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে সবুজ গমগাছ

গো-খাদ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে সবুজ গমগাছ

জমির অপরিপক্ব গমের চারা কেটে গো-খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করায় রানীগঞ্জ বাজার ঘাসের হাটে অভিযান পরিচলনা করা হয়েছে। গত রোববার বিকালে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি বিভাগ এ অভিযান পরিচলনা করে। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো: মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচলনা করা হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো: রফিকুজ্জামান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোছাঃ উম্মে সালমা বেগম, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: মোমদেল হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অপরিপক্ব গমের চারা না কাটতে গমচাষিদের উদ্বুদ্ধ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান। ব্যাপক হারে এ প্রবণতা শুরু হওয়ায় দেশে খাদ্য নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করেন তিনি। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারসহ আশপাশের বাজারে এমন দৃশ্য কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছিল। এতে গমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করেন কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষি কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় গমের আবাদ এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। এখন খেতে থেকে বাড়ন্ত গমের চারা কেটে বিক্রি করা হলে উৎপাদনের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। গমের শীষ সবেমাত্র বের হয়েছে, আবার কোথাও শীষ বের হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। উপজেলার, মগলিশপুর, মারুপাড়া, রামপাড়া, নারায়ণপুর, ডাঙ্গা, জয়রাম, কৃঞ্চরামপুর, সেখালীপাড়া, চাঁদপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে গম চাষিরা বাড়ন্ত গমের চারা জমি থেকে গোড়া থেকে কেটে আঁটি বেঁধে তা রানীগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি হিসেবে বিক্রি করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৮০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, কিন্তু চাষ হয়েছে ৭৫ হেক্টরে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে এমনিতেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আবাদ করা হচ্ছে। এর ওপর যদি কাঁচা অবস্থাতেই কেটে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে গম উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে। কৃষকরা কাঁচা গমের গাছ কেটে বিক্রি যেন না করে, এজন্য তাদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে সবার সঙ্গে এ বিষয় কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত