ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফুলছড়িতে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন

হুমকির মুখে বাঁধ ও ফসলি জমি
ফুলছড়িতে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়াতে নিষিদ্ধ বরিং ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সুইচগেটসহ ফসলি জমি। অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে যেকোনো সময় এ স্থানটি ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে ওই এলাকার শতাধিক বাড়িঘর। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নীলকুঠি-কাতলামারী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাঙ্গাপাড়া এলাকায় সুইচগেট সংলগ্ন এলাকায় দিনভর একটি খাল থেকে বরিং ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে। এখানে প্রায় দেড় হাজার ফুট দূরের একটি পুকুর ভরাট করাসহ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গামোড় গ্রামের মৃত চারু মিয়া ছেলে প্রভাবশালী রুহুল আমীন দীর্ঘদিন জোরপূর্বক বালু তুলছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। আত্মঘাতী এই ড্রেজার দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি দেবে যাওয়াসহ আশপাশের পরিবেশেরও ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, খাল থেকে বালু তোলার কারণে আশপাশের সব জমি ধসে যাচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ সুইচগেটটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ করলেও রুহুল আমীন আইন অমান্য করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালু উত্তোলনকারী রুহুল আমীন জানান, যেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে, সেই জমির মালিক তারা। তাদের জমি থেকেই বালু তুলে পুকুর ভরাট করছেন। গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান বলেন, বরিং ড্রেজার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শ্যালোমেশিনের মাধ্যমে কম্পন সৃষ্টি করে বালু তোলার ফলে মাটির তলদেশে ফাঁকা হয়ে যায়। এতে বড় ধরনের ভূমি ধসের আশঙ্কা দেখা দেবে। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এসব ড্রেজার দ্রুত বন্ধ করা উচিত। ফুলছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা তাসনিম বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে অবৈধ ড্রেজার মালিক ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত