দাম বাড়ায় কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এ.এইচ.এম. আরিফ, কুষ্টিয়া

চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। দিন-রাত একাকার করে পেঁয়াজের চারা রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পারছেন কৃষকরা। দাম বাড়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। চাষিরা জানান, ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের দাম নিয়ে মলিন ছিলেন চাষিরা। তবে অসময়ে বাজারে চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় বেজায় খুশি তারা। সে জন্য অতীতের তুলনায় অধিক জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু এ বছর পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি খরচ বেড়েছে পাঁচণ্ডসাত হাজার টাকা। জমিচাষ, বীজ ও চারা রোপণ ও পরিচর্যা, সার-কীটনাশকসহ প্রতি বিঘা পেঁয়াজ চাষে ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি বিঘায় ৫০-৬৫ মণ ফলন পাওয়ার প্রত্যাশা তাদের। গতকাল সকালে সরেজমিন দেখা যায়, কৃষক-শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সি ১৫ থেকে ২০ জন মিলে দলবদ্ধভাবে চারা রোপণ করছেন। একজন লোহার ছোট লাঙ্গল দিয়ে সারি টানছেন। আর অন্যরা সারিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন। যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের নীলের মাঠের কৃষক হাফিজ শেখ জানান, দুই বিঘা জমিতে চারা রোপণ করছি। বিঘা প্রতি খরচ পড়ছে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় প্রায় ৫০-৬০ মণ ফলনের প্রত্যাশা করছেন। কামাল হোসেন নামে আরেক কৃষক জানান, ভরা মৌসুমে কৃষকরা লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করে চাষাবাদে হতাশ হয়েছিল। তবে শেষ সময়ে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। অসময়ে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের আবাদ বাড়বে। চাপড়া ইউনিয়নের কবুরাট গ্রামের কিনাজ উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম ডিগ্রি শেষ বর্ষের ছাত্র। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। তিনি জানান, গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে প্রায় ৩০০ মণ পেঁয়াজ পেয়েছিলেন। অসময়ে ভালো দামে বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন। সে জন্য কৃষি অফিসের পরামর্শে চলতি বছর প্রায় ১০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর। তারমধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চার হাজার ৫০০ হেক্টর জমি পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে ৯০০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ভালো দাম পাওয়ায় এ চাষে আগ্রহ বাড়িয়েছে কৃষকরা।