নওগাঁয় মজুতবিরোধী অভিযানে ১০ ব্যবসায়ীর জরিমানা

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় মজুতবিরোধী অভিযানে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ধান ও চালের মজুত রাখায় ১০ জন ব্যবসায়ীর ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে আগামী সাত দিনের মধ্যে মজুতকৃত সব ধান ও চাল বাজারজাতকরণের মুচলেকা নেয়া হয়। গত সোমবার জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাস, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন, সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদী সেতু এবং ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা খাতুন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালানা করেন। রাতে জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেলে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা।

জানা গেছে, জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার দামপুরা বাজারে অবৈধভাবে ১ হাজার ৮০০ মন ধান মজুত করায় জাহাঙ্গীর শেখ নামক এক ব্যক্তিকে ৮০ হাজার টাকা এবং নিমদীঘি বাজারে সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ মন ধান অবৈধভাবে মজুত করায় রুহুল আমিন নামক এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অন্যদিকে সাপাহার উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন ধান মজুতের দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ধামইরহাট উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন ধান মজুতের দায়ে কৃষি বিপণন আইনে দুইজনকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলায় ধান ও চালের অবৈধ মজুত রাখা ও লাইসেন্সবিহীন রাইস মিল পরিচালনায় চারজন মিল মালিককে চারটি মামলায় সর্বমোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। একইসাথে সাত দিনের মধ্যে সব মালিককে মজুতকৃত সকল ধান ও চাল বাজারজাতকরণের মুচলেকা নেয়া হয়। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা বলেন, অভিযানে ধান ও চালের দাম কমার প্রভাব পড়েছে। সদর উপজেলায় খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে মোটা স্বর্ণা-৫ জাতের চাল সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।