ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জমে উঠেছে সরোজগঞ্জ গুড়ের হাট

জমে উঠেছে সরোজগঞ্জ গুড়ের হাট

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি হাটে গুড় কিনতে শত শত ক্রেতা আসছেন চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ গুড়ের হাটে। উৎপাদন কম হওয়ায় অনেক ক্রেতাকে খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে। হাট সূত্র জানায় হাটে প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে। প্রতি সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার গুড় বেচাকেনা হয়। প্রতি বছর এ হাট থেকে বেচাকেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা। এ হাটের গুড় দেশের জেলাগুলোর মধ্যে ঢাকা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রাজবাড়ি, পঞ্চগড়, সিলেট, খুলনা, রংপুর, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গুড় কিনতে আসেন। সরেজমিন দেখা যায়, ক্রেতা থেকে বিক্রেতাদের হাঁক থেকে ডাকে মুখর গুড়ের হাট। সপ্তাহের শুক্রবার ও সোমবার এখানে খেজুর গুড়ের হাট বসে। এবার খেজুর গুড়ের চাহিদা বেশি হলেও সরবরাহ কম। কৃষক খেজুর গাছ কেটে ফেলছেন। আবার অনেক খেজুর গাছের বয়স হয়ে যাওয়া তা থেকে রস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গুড় উৎপাদন কম হচ্ছে। জিল্লুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, গুড়ের দাম বেড়েছে। এখন প্রতি ভাঁড় (গুড় রাখার পাত্র) গুড় ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। তবে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় গুড়ে ভেজাল বন্ধ হয়েছে। এ হাটের ঝোলা গুড় থেকে নলেন পাটালি সারা দেশে বিখ্যাত। পাবনা থেকে আসা শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এবার গুড়ের দাম বেশি কিন্তু সরবরাহ কম। তবে গুড়ে ভেজাল নেই। এছাড়া এ হাটে ব্যাপারীরা বেশ নিরাপত্তা পান। কিন্তু ইচ্ছামতো গুড় কিনতে পারছি না। চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলা সদরে ৯৮ হাজার ৫০০টি খেজুর গাছ রয়েছে। আলমডাঙ্গায় ৪৫ হাজার ৫১০টি, দামুড়হুদায় ৯ হাজার ২০০টি, জীবননগরে ৩৭ হাজার ৪৫০টি গাছ থেকে রস নামানো হয়। এবার জেলায় গুড়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। স্থানীয় গুড় ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কুমার অধিকারী বলেন, আমাদের গুড়টা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, পাবনা ও ঢাকাসহ সারাদেশে যায়। বাপ থেকে দাদার মুখে শুনে আসছি এটা ৩০০ বছরের পুরোনো দেশের সর্ব বৃহৎ হাট। সামসুল মিয়া নামের একজন চাষি বলেন, গত বছর ২৫টি গাছ প্রস্তুত ছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত